বিশেষ প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা, ঢাকা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরিক্ষায় আশানুরূপ ফল না পাওয়ায়, হতাশা প্রকাশ করেছেন টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এইচএসসি, আলিম ও টেকনিক্যালের ফলাফলে দেখা গেছে। ঢাকা বোর্ডের অধীনে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ১২৫০ পরিক্ষার্থী ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে পাশ করেছেন ৬১৯জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছেন ৬৩১জন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন মাত্র ৩জন শিক্ষার্থী। শিমলা পাবলিক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ৩জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিলেও, কেউ উত্তীর্ণ হয়নি।
টেকনিক্যাল বোর্ডের অধীনে (বিএমইটি), উপজেলার ৬৭২জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৫৭৬জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছেন ৯৬জন, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯জন শিক্ষার্থী।
মাদরাসার বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায়, উপজেলার ২০৩জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৭৫জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছেন ২৮জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬জন শিক্ষার্থী।
অভিভাবক আশরাফুল আলম হতাশা প্রকাশ করে বলেন, কিভাবে রেজাল্ট হলো বুঝতে পারছি না। আমার ছেলে এক সাবজেক্টে ফেল করেছে, এমন রেজাল্ট প্রত্যাশা ছিলো না।
শিমলা পাবলিক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রুপন চন্দ্র গুহ জানান, কলেজ শাখা এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ১০জন নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক, ১০বছর ধরে প্রতিষ্ঠানে আসেন না। নামেই শুধু কলেজ, ছাত্র ভর্তি অনুমতি থাকায় ২/৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে পরিক্ষা দেয়। একারণেই এমন ফলাফল।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হায়দার বলেন, এগুলোতে আমাদের কিছু করনীয় নেই, এবারের এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট কিভাবে হলো আপনারা জানেন। বোর্ড থেকে যেভাবে সাবজেক্ট ম্যাপিং করতে হয় সেভাবেই তারা করেছে। এখন ওর মধ্যে কোন সমস্যা আছে কিনা সেটাতো আমরা জানি না।
উল্লেখ্য, এবারের এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ জুন। সাতটি পরীক্ষার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এতে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর প্রথমে ১১ আগস্ট ও পরে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে আগস্টে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করলে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা বিভাগ।