মোঃ রুবেল আহমেদ (বিশেষ প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল)
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে “মসজিদ নির্মাণ নিয়ে সিরিজ মারামারি” শিরোনামে গনমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদ সবাইকে হতভম্ব করে দিয়েছিলো।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের বনমালী শ্রীরামপুর গ্রামের একটি পুরনো মসজিদ পুনঃ নির্মাণ করার সময়, সীমানা সংক্রান্ত জটিলতায় সিরাজ গ্রুপ ও বাদশা গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, এরপর দুই পক্ষই আলাদা আলাদা মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করে, পুরনো মসজিদে নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় ঘাস, লতাপাতা গজাতে শুরু করে। এই ঘটনা সালিসী বৈঠক, প্রশাসনে অভিযোগ ও শেষে আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আয়নাল খান জানান, গ্রামবাসীর অনুরোধে গোপালপুর থানার ওসি সাহেব উদ্যাগী হয়ে ৩১শে জুলাই রবিবার উভয় পক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে, সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা দুর করে দুই পক্ষের মধ্যে মীমাংসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এতে আমি ও গ্রামবাসী সবাই খুব খুশি। দুই পক্ষই মামলা প্রত্যাহারে সম্মতি জানিয়েছেন। এছাড়া পুরনো মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হলে, সবাই আগের মতো একত্রে একটি মসজিদে নামাজ আদায় করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গোপালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোশারফ হোসেন ফেসবুক পোস্টে লিখেন: নগদা শিমলা ইউনিয়নে বনমালী গ্রামে আনুমানিক ১০০ বছরের অধিক পুরনো মসজিদ প্রায় ২ বছর যাবত এলাকার সামাজিক দ্বন্দ্বের কারেন মসজিদের নির্মাণ কাজ ও নামাজ বন্ধ ছিল । আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে দুই পক্ষকে নিয়ে সামাজিক সমঝোতায় অবশেষে আল্লাহতালার রহমতে পুনরায় মসজিদ নির্মাণ কাজ চালু করতে পেরেছি।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে ওসি মোঃ মোশারফ হোসেন টাংগাইলের কাগমারী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পদে দায়িত্ব থাকা অবস্থায়, কন্যা সন্তান হলে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনায় এসেছিলেন।