মো. রুবেল আহমেদ (বিশেষ প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল)
এক সপ্তাহের ব্যবধানে, টাঙ্গাইল গোপালপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে কাঁচা তরকারি, কাঁচা মরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে কেনাকাটা করতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
বিক্রেতাদের দাবি, টানা বৃষ্টিতে অনেক সবজি ক্ষেত ডুবে যাওয়া, ফসল সংগ্রহ করতে না পারা এবং পরিবহন সমস্যার কারণে আড়ৎ এ পণ্য আমদানি কম থাকায় মূল্যে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরেজমিনে, গোপালপুর বাজার, নলিন হাট ঘুরে দেখা যায় টমেটো,গাজর, শসা, করলা, লাউ, পটল, বেগুন, আলু, মিষ্টি কুমড়ার দাম ১সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়েছে। ৪০-৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সবজিগুলো ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নলিন হাটে বেগুনের দাম প্রতি কেজি ১০০টাকা ও লাউ প্রতিটি ১০০টাকা বিক্রি হচ্ছিল।
বুধবার গোপালপুরসহ অন্যান্য বাজারে পটল ৬০টাকা, ফুলকপি ১২০ টাকা, মুখি কচু ৬০-৭০ টাকা, করল্লা ৮০-১০০ টাকা, কাঁকরোল ৮০টাকা, মুলা শাক ৩০/৪০টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আলুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে। মুরগির দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৪০-৮০টাকা।
ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা, দেশি মুরগি ৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ৩৬০ টাকা, লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩২০টাকা,সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির ডিম ৫৫-৬০টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।
চালপ্রতি বস্তা প্রতি ৩০০-৪০০ টাকা বেড়ে, ২৯চাল ৫০কেজি বস্তা ৩০০০টাকা, পাইজাম চাল ৩৪০০টাকা বিক্রি হচ্ছে।
গ্যাস সিলিন্ডার প্রতি দাম বেড়েছে ২০০-৩০০টাকা ।
চারিদিকে অথৈ পানি থাকলেও মাছ বাজারে নেই স্বস্তির খবর।
ক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টিকে পুজি করে বিক্রেতারা ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়েছেন। নিয়মিত বাজার তদারকি করা হলে, বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পেতো না।
অটো ভ্যান চালক আব্দুস সালাম জানান, বৃষ্টির কারণে কয়েকদিন যাবৎ আয় রোজগার কমে গেছে। জিনিস পত্রের দাম এতো বেড়েছে যে, সামান্য আয় করা টাকা নিয়ে বাজারে এসে ব্যাপক হিমশিম খেতে হচ্ছে।
গোপালপুর বাজারের কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী ফেরদৌস বলেন, সাধারণত এসময় সবজির দাম কম থাকে, কিন্তু বৃষ্টির জন্য সবজির ক্ষেত হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। তাই সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে প্রতিদিন মাল কিনতাম ২০-২৫ মন এখন মাল কিনতে হচ্ছে ৫-৭ মন। টানা বৃষ্টির কারণে জমিতে কাঁদা-পানি সেজন্য সবজি সংগ্রহ করা যাচ্ছে না।
গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাজমুল হাসান বলেন, মূল্যে নিয়ন্ত্রণে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করবো। নিয়মিত বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করার পাশাপাশি, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবো।