মো. রুবেল আহমেদ (বিশেষ প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল)।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সংসদীয় আসন ১৩১, টাঙ্গাইল-২ গোপালপুর ও ভুঞাপুরে আসনে ইতিমধ্যেই জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারনা।
এই আসনে মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছোট মনির নৌকা মার্কা, স্বতন্ত্র মো. ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঈগল মার্কা, জাতীয় পার্টি মো. হুমায়ুন কবির তালুকদার লাঙ্গল মার্কা, গণফ্রন্টের গোলাম ছরোয়ার মাছ মার্কা, বাংলাদেশ কংগ্রেস মো. রেজাউল করিম ডাব মার্কা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মো. সাইফুল ইসলাম আম মার্কা।
প্রার্থীরা নিয়মিত জনসংযোগ ও পথসভার মাধ্যমে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করে চলেছেন।
এই আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনিরের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন তার শ্বশুর আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান এমপি।
ছোট মনির এমপি বলেন, বিগত পাঁচ বছরে এই আসনে ৩হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছি তাই আগামী নির্বাচনে জনগণ আবার আমাকেই ভোটে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত করবেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে মানুষ টাকা পায় এজন্য জনগণ তাকে হয়তো প্রতিহত করতে চাইতে পারে। তিনি বারবার আমার বিরুদ্ধে আজগুবি অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনকে বিভ্রান্ত করছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইউনুছ ইসলাম তালুকদারের পক্ষে সরাসরি মাঠে নেমেছে ভুঞাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদ ও গোপালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র রকিবুল হক ছানা।
মো. ইউনুছ ইসলাম তালুকদার বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বি নৌকার প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধির কোন তোয়াক্কা করছে না। আমার পক্ষে গনজোয়ার দেখে তিনি ঈর্ষান্বিত। আমার কর্মীদের ভোট চাইতে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। বহিরাগতদের এনে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব অভিযোগ আমি লিখিতভাবে জানিয়েছি। ভোটাদের ভোটকেন্দ্রে যেতে কেউ যেন বাঁধা দিতে না পারে ও সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ হয়, সেই পরিবেশ তৈরির জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাই।
অন্যান্য প্রার্থীরাও পথসভা, হাট বাজার, চায়ের দোকান সহ জনসমাগম হয় এমন স্থানে নিজ নিজ প্রতীকের প্রচারনা চালাচ্ছেন।
এই আসনের মোট ভোটার ৩,৯৫,২৪৮জন। আগামী ৭ই জানুয়ারী ১৩৮ কেন্দ্রের ৮৮৭টি বুথে ব্যালটে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।