টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নে প্রায় এক কিলোমিটার পাকা সড়ক নদীর পেটে চলে গেছে। ফলে স্থানীয়দের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ধস নেমে এসেছে।
একটা সময় উপজেলার প্রধান যাতায়াত ব্যবস্থা নদী পথে হলেও, ৯০দশকের পর থেকে সড়কে যাতায়াত ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হলে, নদী পথে এখন যাতায়াত নেই বললেই চলে । একমাত্র ভরসা সড়ক পথ হলেও, নগদাশিমলা বাজার থেকে হাদিরা হয়ে ধনবাড়ী উপজেলা সদরে সরাসরি যানবাহন চলাচল দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ রয়েছে। উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও মালামাল নিয়ে বিকল্প পথে যাতায়াত করায় মানুষের খরচ ও ভোগান্তি বেড়েছে। রাতে চলাচল করতে গিয়ে ইতোমধ্য অনেকে আহত হয়েছে। কয়েকজন পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। কোন প্রকার ভ্যান-রিকশা বা অন্য যানচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার গোয়ালবাড়ী ঘাট ব্রিজের উত্তরে জনৈক প্রভাবশালীর জবরদখল করা জমি রক্ষার জন্য পূর্বদিকে ধনুকের মতো বাঁকিয়ে নদী খনন সম্পন্ন করেন। এতেই পাকা সড়ক ভেঙে নদীতে চলে গেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফিল্ড অফিসার এবং ঠিকাদারের প্রতিনিধিকে একাধিকবার বলেও নদীর স্বাভাবিক প্রবাহের চ্যানেল খনন করানো যায়নি। ফলে বর্ষায় নদীর স্রোত ওখানে বাঁক খেয়ে ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি করায় নদী তীর ও এলজিইডি’র পাকা সড়কে ভাঙন দেখা দেয়। প্রায় এক কিলোমিটার পাকা সড়ক ইতোমধ্যে নদীগর্ভে চলে গেছে। হাদিরা ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের তালুকদার জানান, বৈরাণ নদী খনন পাউবো এক তরফাভাবে করেছে। এলজিইডি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সাথে তারা কোন সমন্বয় করে নাই। উপজলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, তারা এলজিইডি’র নগদা শিমলা-হাদিরা বাজার সড়কের ক্ষতিগ্রস্থ অংশ সংস্কারে হাত দিয়েছেন। কিন্তু বন্দহাদিরা এলাকায় নদী তীর না থাকায় সড়ক সংস্কার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]