মো. রুবেল আহমেদ (বিশেষ প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল)
হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি টক অফ দ্য টাউনে পরিনত হয়েছে। বাজারে ২০০টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হওয়ায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে। এরমাঝে সুখবর হচ্ছে টাঙ্গাইলের গোপালপুরের ঝাওয়াইল ইউনিয়নের সোনামুই বাজারে পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০থেকে ৪০টাকা দরে। পাইকারি ও খুচরা দুভাবেই পেঁয়াজ বিক্রি হয় এখানে।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, ভোর ৪টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত এই বাজারে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫০-২০০মন পেঁয়াজ বিক্রি হয়। পুরো পৌষ মাসজুড়ে এখানে পাতাসহ পেঁয়াজ বেচাকেনা চলে।
স্থানীয়রা জানান, কুয়াশার কারণে যমুনার চরাঞ্চলের অধিকাংশ চাষীরা আগেরদিন বিকাল থেকেই পেঁয়াজ নিয়ে চলে আসে, এছাড়া মধ্যে রাত থেকেও অনেকে আসে। চরভরুয়া, চরসোনামুই, কবলিবাড়ী, নরপাড়া রাধানাগর, বাশুরিয়া, পঞ্চাশী, কেরামজানি, রামাইলের চর, খাসবালিয়াবান্না এসব অঞ্চলের পেঁয়াজ বেশি আমদানি হয় এখানে।
পেঁয়াজ চাষী আনিসুর রহমান বলেন, বিঘাপ্রতি অন্তত ৬০মন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, এতে খরচ হয় প্রায় ৩০হাজার টাকা। ১২০০ থেকে ১৬০০টাকা মন বিক্রি করা যায়। হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়েছে তাই কাঁচা পেঁয়াজে ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে।
সোনামুই হাটের ইজারাদার আক্তার হোসেন জানান,
গাজীপুরের কালিয়াকৈর, টাঙ্গাইল, ধনবাড়ী, মধুপুর, কালিহাতী অঞ্চলের পাইকাররা এখানে কাঁচা পেঁয়াজ ও অন্যান্য কাঁচামাল কিনতে আসেন। প্রতিদিন অন্তত ২০০মন পেঁয়াজ আমদানি হয় এখানে।
ঝাওয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তালুকদার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সোনামুই বাজারের সার্বিক নিরাপত্তা মনিটর ও দেখভাল করা হয়। এলাকার কৃষকরা পেঁয়াজের বাজারে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, উপজেলার ৬০হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে, গতবারের চাইতে এবারের ফলন বেশী । পাতাসহ কাঁচা পেঁয়াজ সোনামুই, ভেঙ্গুলা ও মুশুর্দি বাজারে বেশি বিক্রি হচ্ছে।