মোঃ রুবেল আহমেদ (বিশেষ প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল)
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের বাইশকাইল গোয়ালপাড়া গ্রামের কৃষক ফজলুল হক (৫০) মাঠে গরু আনতে যেয়ে বজ্রপাতে নিহত হন, একই ইউনিয়নের উত্তর পাথালিয়া গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে কৃষক আবুল কাশেম (৪০) ঘাস কাটতে মাঠে যান, ব্যাপক বজ্রপাত শুরু হলে, বাড়ি ফেরার সময় তার নিথর দেহ রাস্তায় পরে থাকতে দেখে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বুধবার (২১ জুন) দুপুর দুইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে উভয় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
বাইশকাইল গ্রামের কামরুল ইসলাম জানান, অত্র গ্রামের মৃত জোয়াহের মুন্সীর দুই ছেলে ফজলুল হক ও সোহরাব উদ্দিন আকাশে মেঘ দেখে, দৌড়ে মাঠে ছুটে যান গরু আনতে। এসময় বজ্রপাত হলে বড় ভাই ফজলুল হক নিহত ও ছোট ভাই বাক প্রতিবন্ধী সোহরাব কিছুটা আহত হন, তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর সুস্থ আছেন। বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার পারিবারিক কবরস্থানে নিহতের দাফন সম্পন্ন হবে।
উত্তর পাথালিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান, মৃত আবুল কাশেম তার চাচাতো ভাই, ঘাস কেটে বাড়ি ফেরার পথে তাকে পরে থাকতে দেখে আমরা উদ্ধার করে করে হাসপাতালে নিয়ে যাই । এসময় ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। ঔ সময় যেহেতু ব্যাপক বজ্রপাত হয়েছে, আশংকা করা হচ্ছে বজ্রপাতের প্রভাবেই তার মৃত্যু হয়েছে।
নগদা শিমলা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহেল বজ্রপাতে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেন ও উক্ত ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আলিম আল রাজি জানান, উত্তর পাথালিয়া গ্রামের মৃত আবুল কাশেমকে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছিল, বজ্রপাতেই তার মৃত্যু হয়েছে।
গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোশারফ হোসেন, বজ্রপাতে একাধিক মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এঘটনায় নগদা শিমলা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]