মোঃ রুবেল আহমেদ (বিশেষ প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল)
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মাঠে মাঠে এখন সরিষার ফুলে ভরে গেছে। জেলার বিভিন্ন এলাকা সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি মাঠে সরিষা ফুল বাতাসে দোল খাচ্ছে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে সরিষা ফুল হাসছে এবং হলুদের গালিচা বিছিয়ে রেখেছে কেউ। হলুদ ফুলের এ দোলা দেখতে এখন দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা মাঠে ভিড় করছেন।
উপজেলা আলমনগর ইউনিয়নের মধ্যপাড়া মো. আজহার আলী, আমি সরিষা চাষ করি। গত বছর সরিষা চাষে ভালো ফলন পেয়েছিলাম। এবার ৪০ শতক জমিতে সরিষা চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সরিষা ভালো হয়েছে। আশারাখি গতবারের তুলনায় এবার দাম অনেক বেশি পাব।
উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মহানপুর বাজারের কামাখ্যা বাড়ি গ্রামের চাষী রাজা মিয়া বলেন, সর্বসময় বারো মাসি ফসল উৎপাদন করি। এ ফসল গুলোর মধ্যে সরিষা অন্যতম। ধানের পরেই আমি এবার ১৫ বিঘা জমিতে এ চাষ করেছি। সরিষা চাষে পরিচর্যা কম লাগে শুধু নিয়মিত দেখাশুনা আর ঠিকমতো ঔষধ ছিটিয়ে কাজ করতে হয়।
উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের আতিকুর রহমান কুমুল্লি গ্রামের সরিষা চাষী মো. আতিকুর রহমান আতিক জানান, আমি প্রতি বছর সরিষা চাষ করে আসছি। এ চাষে পরিশ্রম কম ফলনও ভালো। সার ও ঔষধ নিয়মিত সময়ে দিলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। আমি এবার ৩০ শতক জমিতে সরিষা চাষ করেছি। এবার আমার সরিষা ভালো হয়েছে। এখন গাছে গাছে ফুল এসেছে। আর কিছুদিনের মধ্যে ছোট ছোট গুটি গুটি সরিষা দানায় পরিণত হবে। সরিষা ফুলের অপরুপ সৌন্দর্য দেখতে ইতিমধ্যে আমার ক্ষেতে সকাল বিকাল মানুষের ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে।
গোপালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শামিনা ইয়াসমিন বলেন, এবার গোপালপুর উপজেলায় ৪ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে, উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন ও আলমনগর ইউনিয়নের সরিষার চাষ সবচেয়ে বেশি করা হয়, এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সরিষার উৎপাদন হবে বলে আশা করছি।
চলতি বছর এবার উপজেলায় সরিষা চাষ অনেক বেশি হয়েছে।
এবার সরিষার বাম্পার ফলন ছাড়িয়ে যাবে বলেও আশা করেন এই কর্মকর্তা।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]