টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ফেরিওয়ালার কাছে বিক্রি করে দেয়া বিপুল পরিমাণ বিনামূল্যের সরকারি পাঠ্যপুস্তক জব্দ করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে নগদা শিমলা ইউনিয়নের চরচতিলা আলিম মাদরাসা থেকে বস্তাবর্তী বইগুলো নেয়ার সময়, রাস্তার মাঝে জনগণ আটক করে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেন। খবর পেয়ে বিক্রি হওয়া বইগুলো উদ্ধার করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া ইসলাম সীমা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আয়নাল হক জানান, বস্তাবন্দি বইগুলো নিয়ে যাবার সময় সন্দেহ হলে, জনগণকে সাথে নিয়ে রাস্তার মাঝে বইগুলো আটক করতে সক্ষম হই।
স্থানীয়রা জানান, মাদরাসার অধ্যক্ষ চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমান পাঠ্যপুস্তক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে সংগ্রহ করেন। শিক্ষার্থীদের পরিমাণমত পাঠ্যপুস্তক বিতরণের পর অতিরিক্ত পাঠ্যবই ফেরৎ না দিয়ে স্টোররুমে জমা রাখেন। বুধবার সকালে বইগুলো বস্তাবন্দি করে ফেরিওয়ালার কাছে কেজি ধরে বিক্রি করে দেন। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানাকে সঙ্গে নিয়ে বইগুলো জব্দ করেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম মন্ডলকে ইউএনও’র কার্যালয়ে আনা হয়।
ফেরিওয়ালা আ. গণি মিয়া জানান, ওই মাদরাসার প্রভাষক আকাশ আলীর মাধ্যমে ১৭ টাকা কেজি ধরে ৫হাজার ৯শত টাকায় বইগুলো কিনেন তিনি।
অভিযুক্ত শিক্ষক আকাশ, মোবাইল ফোনে প্রতিবেদককে জানান আড়াই মন বই উধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়াই বিক্রি করা হয়েছে, এজন্য তিনি একা দায়ী নই।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম মন্ডল বাদী হয়ে একই প্রতিষ্ঠানের প্রভাষক আকাশের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. পারভেজ মল্লিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিয়মিত মামলা হবে।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, আমার কাছে অভিযোগ এসেছে। প্রভাষক আকাশের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করা হয়েছে।তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।