মোঃ রুবেল আহমেদ (বিশেষ প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল)
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম বালোবাড়ি, এই গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় প্রায় সতেরো শত মানুষের বসবাস ও শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে বলে গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে। মাত্র এক কিলোমিটার সড়ক না থাকায়, কৃষি নির্ভর এই গ্রামের মানুষের উৎপাদিত কৃষিপণ্য উপজেলা সদর ও বিভিন্ন হাট বাজারে পৌঁছাতে, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতে এবং রোগীদের হাসপাতালে দ্রুত পৌঁছাতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন হেমনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাত নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ ফেরদৌস।
অত্র গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী মোঃ নুরুল হুদা বাদল জানান, রাস্তা না থাকায় বালোবাড়ী পশ্চিমপাড়া মাতাব্বর খাঁনের বাড়ি হতে লেবু মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত আনুমানিক দুই কিলোমিটার আইল বাতর পাড়িয়ে দুপায়ে হেঁটে বাংলাবাজার টু নলিনের মূল সড়কের উঠতে হয়।
এতে সাইকেল, ভ্যান, রিক্সা, এম্বুলেন্স সহ কোন প্রকার যানবাহন চলাচলের সুযোগ নেই। বর্ষা মৌসুমে পায়ে হাঁটার রাস্তার উপর পানি থইথই করে বিধায় চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার বেশি রাস্তা ঘুরে নলিন হাটে পৌঁছাতে হয়, বর্ষার সময় শিক্ষার্থীদের স্কুল,কলেজে যাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ২০২২ সালে ইউনিয়ন পরিষদের প্রকল্পের আওতায় আনুমানিক এক কিলোমিটার মাটি ফেলে রাস্তা বানানো হয়েছে, বাকী এক কিলোমিটারে মাটি ফেলে রাস্তা বানালে জনদুর্ভোগের চিরবসান হবে ।
৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মোছাঃ জয়গন বলেন, মাত্র এক কিলোমিটার রাস্তা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে মানুষের চলাচলে ব্যাপক কষ্ট হয় শিক্ষার্থীরা সময়মতো বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে পারেনা, এক কিলোমিটারে মাটি ফেলে রাস্তা বানিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের নিকট দাবী জানাই।
বৃদ্ধ কৃষক দারোগ আলী জানান, আমরা ফসল উৎপাদন করি এক কিলোমিটার রাস্তা না থাকায় ভ্যান, রিক্সা ও সাইকেল চলে না । এতে ফসল হাটে পৌঁছাতে অনেক কষ্ট হয় । বর্ষা মৌসুমে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। এই রাস্তাটি নির্মাণের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
ভুক্তভোগী কৃষক বাবলু শেখ বলেন, রাস্তা না থাকায় দুর্ভোগের বিষয়টি ইতিমধ্যেই জনপ্রতিনিধিদের অবগত করার সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. পারভেজ মল্লিককে লিখিতভাবে জানিয়েছি। আশাকরি জনভোগান্তিরোধে সকলের প্রচেষ্টায় রাস্তাটির নির্মাণ কাজ সরকার সম্পন্ন করবেন ।
সত্যতা স্বীকার করে হেমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান তালুকদার হীরা মোবাইল ফোনে প্রতিবেদককে জানান, এই রাস্তাটি সম্পন্ন করা আমার নির্বাচনী অঙ্গীকার, ইতিমধ্যেই এমপি ছোট মনিরকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে, বরাদ্দ পেলে শীঘ্রই বাকী রাস্তার কাজ সম্পন্ন করা হবে।