মোঃ রুবেল আহমেদ (বিশেষ প্রতিনিধি,টাঙ্গাইল)
এবার কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে সবার দৃষ্টি কেড়েছে এক হাজার কেজি ওজনের ষাঁড় ‘শান্ত’, ষাড়টির প্রিয় খাবারের তালিকায় প্রতিদিন রাখতে হয় সবরি কলা । গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের তোলাজান গ্রামের আব্দুল মজিদের পুত্র খামারি মো. আঃ রশিদ ব্রাহমা জাতের এই ষাঁড় গরুটির মালিক। উপজেলার সবচেয়ে সুদর্শন ও বড় হিসেবে আলোচিত ব্রাহমা জাতের গরুটি দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা। দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন ক্রেতারাও। মালিক দাম হাঁকছেন , পাইকাররা দামদর করছেন।
খামারি মো. আঃ রশিদ জানান, ব্রাহমা জাতের এই ষাঁড়ের ওজন এখন ১০০০ কেজির বেশি। প্রতিদিন এর ওজন দেড় থেকে দুই কেজি করে বাড়ছে। সারাদিনই ‘শান্ত’র যত্ন করতে হয়। তিনি নিজে একাধিক শ্রমিক খাওয়ানো, গোসল করানো ও পরিচর্যাসহ সবকিছু লক্ষ্য রাখেন। গরুটি ওজনে যেমন, তেমনি এটি দেখতেও আকর্ষণীয়। ৪বছর বয়সী ষাড়টিকে প্রিয় খাবার হিসাবে প্রতিদিন সবরি ও অন্যান্য কলা দিতে হয়, এছাড়াও খাবারের তালিকায় রয়েছে নিজস্ব জমির কাঁচা ঘাস, শুকনো খড়, গমের ভুষি, খেসারির ভুষি, ভুট্টাভাঙা ইত্যাদি। শুধু গোপালপুরে নয়, টাঙ্গাইল জেলা মধ্যে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বড় ও সুন্দর গরুর তালিকায় ‘শান্ত’ অন্যতম। খামারি আরো জানান, পাশ্ববর্তী ধনবাড়ী উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিস থেকে ব্রাহমার শুক্রাণু এনে দেশী গাভীর মাধ্যমে কৃত্রিম প্রজনন করান, জন্মের পর থেকেই অতি আদরে নিজস্ব খামারে লালন পালন করেন ও সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করার প্রক্রিয়া শুরু করেন। ষাড়টির খাবারের চাহিদা মেটানোর জন্য বাড়ির পাশে একটি বিশাল ঘাসের জমিও করেছেন তিনি। ভালো দামে এবার গরুটি বিক্রি করতে পারলে, আগামীতে এ ধরনের আরো গরু তৈরি করতে তিনি উৎসাহ পাবেন বলেও জানান। গরুটি লালন-পালনে খামারি কোনো ধরনের হরমোন বা স্টেরয়েড ব্যবহার করেননি বলে জানান।
গোপালপুর উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিস থেকে ষাড়টি নিয়মিত দেখভাল করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]