নাজমুল হোসেন রাজবাড়ি জেলা প্রতিনিধিঃরাজবাড়ীর গোয়ালন্দে শনিবার উপজেলা কোর্ট চত্বরে আওয়ামী লীগের অঘোষিত শান্তি সমাবেশে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে মার ধরের শিকার হয়ে। আহত হন ওই দুই সাংবাদিক।
আহত ওই দুই সাংবাদিকরা হলো : দৈনিক বাংলা ও বাংলা ট্রিবিউনের রাজবাড়ী প্রতিনিধি মইনুল হক মৃধা এবং দৈনিক ইনকিলাবের গোয়ালন্দ উপজেলা সংবাদদাতা মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন লালটু। এর মধ্যে মোহাম্মদ মঈনুল হক মৃধাকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত মোয়াজ্জেম হোসেন লালটুকে একই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আহত সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,
খুলনা – ঢাকা মহাসড়কের পাশে গোয়ালন্দ উপজেলা কোর্ট চত্বরে। দুপুর থেকে সেখানে অঘোষিত শান্তি সমাবেশ করছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ ,যুবলীগ, ছাত্রলীগের দুই শতাধিক নেতাকর্মী। ঐদিন বিকেল ৩ ঘটিকার সময়ের দিকে
সাদা রংয়ের একটি মাইক্রোবাস(নম্বর:ঢাকা মেট্রো – চ ১৬ -২০ ২৯) এসে উপজেলা কোর্ট চত্বরে পাশে মহাসড়কে এসে দাঁড়ায়। গাড়িটি এসে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কোট চত্বরে উপস্থিত ক্ষমতাশীল দলের এক দল কর্মী ধাওয়া করে মাইক্রোবাসটি ঘিরে ধরে
এবং গাড়িটির গ্লাস ভাঙচুর করতে থাকে। এ সময় গাড়ি ভাঙচুর এর ছবি তুলতে গেলে ক্ষমতা আসেন দলের কতিপয় কর্মী কর্তব্যরত সংবাদ কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করে।
এতে আহত হন দৈনিক বাংলা ও বাংলা ট্রিবিউনের রাজবাড়ী প্রতিনিধি মইনুল হক মৃধা এবং দৈনিক ইনকিলাবের গোয়ালন্দ উপজেলা সংবাদদাতা মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন লালটু। আহত মইনুল হক কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছে। অপরাহত মোয়াজ্জেম হোসেন লালটুকে একই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়ে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
গোয়ালন্দ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ রাশেদুল হক রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শামীম ঘটনাটির নিন্দা জানিয়ে বলছেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ওই দুই সাংবাদিককে মারধর করে আহত করেছে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন। জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাদেরকে কঠোর আইনের আওতায় আনা হবে। গোয়ালন্দঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি)
স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।