নাজমুল হোসেন,রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি: গোয়ালন্দ উপজেলার পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত, রেলওয়ে কলোনী ৪নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,এই বিদ্যালয়ের মধ্য দিয়ে রয়েছে পাকা রাস্তা । সেই পাকা রাস্তার উপর দিয়ে চলছে যানবাহন, ছাত্র ছাত্রীদের জীবনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে পড়াশোনার পাশাপাশিও খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জানাযায়,তৎকালীন সময় রেলওয়ের বড়বাবুদের,
ছেলে-মেয়েদের পড়ানোর জন্য রেলওয়ের নিজস্ব ৫০( পঞ্চাশ ) শতাংশ জমির উপর এই স্কুলটি ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় ।
এখন আর আগের সেই জৌলুশ নেই । বিদ্যালয়ের মাঠের মাঝ বরাবর দিয়ে নির্মিত হয়েছে পাশের গ্রামে যাওয়ার জন্য পাকা রাস্তা। ওই রাস্তাটি দিয়ে
সারাদিন দাপিয়ে বেড়ায় ,মাটির টানার ড্রাম ট্রাক,
মোটরসাইকেল,নসিমন,করিমন,ইজি বাইক সহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন । ফলে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্ত অভিভাবকরা সারাক্ষণ আতংকে থাকেন দূর্ঘটনার। ইতি মধ্যে পাভেল ও সরমী নামে দুই শিক্ষার্থী দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
রেলওয়ে কলোনী ৪ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা.শাহানাজ পারভীন বলেন, আমাদের স্কুলে ১৫২জন ছাত্র ছাত্রী লেখা পড়া করে,কিন্তুু স্কুলের মধ্য দিয়ে এই পাকা রাস্তাটি হওয়ার ফলে আমাদের সারাক্ষণ সতর্ক হয়ে চলতে হয়। এখান দিয়ে সারাক্ষণ
মাটির টানার ড্রাম ট্রাক,মোটরসাইকেল নছিমন, করিমন, ইজি বাইক এর কারণে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের একরকম বন্দী অবস্থায় থাকতে হয়। সব চাইতে খারাপ ব্যাপার হলো, যখন ছাত্র-ছাত্রীরা
পিটি প্যারেড ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে তখন দুই পাশ থেকে ড্রাম ট্রাক,মোটরসাইকেল
নসিমন করিমন ও ইজিবাইক এর উচ্চ আওয়াজে হৃণ বাজিয়ে আসে,তখন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের
সরিয়ে তাঁদের রাস্তা ফাঁকা করে দেওয়ার হয়।
স্কুলটি ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত। তবে এই স্কুলের অনেক সমস্যা। প্রতিষ্ঠা কালীন থেকে নেই কোন টয়লেট, বাউন্ডারি। যে কারণে স্কুলের পাশ দিয়ে বেদখল হয়ে যাচ্ছে। স্কুলের মাঠের মাঝখান দিয়ে পাকা রাস্তা থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক সমস্যা হয়। তিনি আরো বলেন, এই স্কুলে আমি নিজেও শিক্ষার্থী ছিলাম। তখন থেকে দেখে এসেছি স্কুলের অনেক সমস্যা। এব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার মৌখিক ভাবে অবগত করা হয়েছে। আশ্বাস পাওয়া যায়, কিন্তুু কোন সমাধান হয় না।
পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর
মো. কিয়াম শিকদার বলেন,শতবর্ষী বয়সী এই বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নেই কোন আলাদা টয়লেট, এটা দুঃখজনক। স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিরাপদের জন্য অবশ্যই স্কুলের বাউন্ডারি ও টয়লেট প্রয়োজন।যাতে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা নিরাপদে খেলাধূলা করতে পারে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, বিষয়টি দেখে ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো। তাছাড়া স্কুলের বাউন্ডারি যাতে দূরত্ব হয়,
সেই বিষয়েও চেষ্টা করবো। শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধান করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবো। যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা জীবনের ঝুকি সহ নিরাপদে থাকতে পারেন।