নাজমুল হোসেন, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধিঃ রাজবাড়ী গোয়ালন্দ ঘাট থানার পুলিশ হত্যা মামলার এক আসামিকে মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে।গ্রেপ্তারকৃত আসামী হলো: রাজবাড়ী জেলা গোয়ালন্দ ঘাট থানা পোঃ-বরাট বাজার, কাশিমা গ্রামের মৃত মুন্তাজ মোল্লা ও মাতা-মৃত মরিয়ম বেগমের ছেলে হেলাল মোল্লা (৪৯)কে গ্রেপ্তার করেন।শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়, গত৩০/০৮/২০২৪ তারিখ মো. আলমগীর কবির (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করে তার ভ্যান ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গোয়ালন্দ ঘাট থানার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, হেলাল মোল্লার আপন ছোট ভাই হারুন মোল্লা (৪০) এর শ্বশুর বাড়ি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানা এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করিত। ভিকটিম আলমগীর কবির রসুলপুর বাজারে বিকাশের দোকান ছিল।সেই সুবাদে ভিকটিম আলমগীর কবির এর সাথে আসামী হারুন মোল্লার পরিচয় হয়।গত ৩০/০৮/২০২৪ তারিখে হারুন মোল্লা ও ভিকটিম নিজ বাড়ী থেকে পাসপোর্ট করার জন্য ফরিদপুর শহরের উদ্দেশ্যে রওনা করে। একই তারিখ বেলা অনুমান ০১:০০ ঘটিকার সময় তাঁহার পরিবারের লোকজন ভিকটিম আলমগীর কবির এর মোবাইল বন্ধ পায়। হেলাল মোল্লা গত ৩০/০৮/২০২৪ তারিখ বিকাল অনুমান ০৪:০০ ঘটিকার সময় তাঁর নিজ বাড়ীতে ঘুমিয়ে ছিল।ওই সময় হারুন মোল্লা তাহাকে ঘুম থেকে উঠাইয়া বাড়ির সামনে রাস্তার উপর নিয়ে আসে। তখন অটোর মধ্যে পিছনের সিটে ভিকটিম আলমগীর কবির অজ্ঞান অবস্থায় বসা ছিল। হারুন হেলাল মোল্লাকে বলে ভাই ওকে ধর ঘরে নিয়ে যাই, সে অসুস্থ্। তখন হেলাল মোল্লা ও হারুন মোল্লা ভিকটিম আলমগীর কবিরকে ধরাধরি করিয়া হেলাল মোল্লার ঘরে নিয়ে চৌকির উপর শোয়ায়।একপর্যায়ে হেলাল হারুনকে জিজ্ঞাসা করে কে উনি। হারুন জানায় যে,নাম আলমগীর, বাড়ি নগরকান্দায়,ওকে মেরে ফেলতে হবে, না মারলে আমাকে মেরে ফেলবে। সেই মোতাবেক হেলাল ও হারুন একটি ভ্যান ভাড়া করে নিয়ে আসে। পরে সন্ধ্যা ০৭:০০ ঘটিকার দিকে হারুন মোল্লা তার ভাই হেলাল এর ঘর থেকে বটি ও একটি ওড়না নিয়ে আসে। হেলাল ভ্যান চালিয়ে আলমগীরকে হত্যা করার জন্য তাহাকে নিয়ে জমিদার ব্রীজ, বেড়িবাধ ও বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২ ঘন্টা ঘোরাঘুরি করিয়া কোথাও সুযোগ না পেয়ে বিএনপি বটতলা হইতে পেয়ার আলী মোড়ে যাওয়ার রাস্তায় জনৈক কাদের এর কলাবাগানের কাছে নিয়ে যায়। সেখানেই আলমগীরকে হত্যা করে।