শাহ আলম,গোয়াইনঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ
সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে লকডাউন চলমান অবস্থায় সিলেটের গোয়াইনঘাটের পর্যটন স্পটসমূহে পর্যটক-দর্শনার্থীর আগমনকে বন্ধ রেখেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। ট্যুরিস্ট পুলিশ সিলেটের জাফলং সাব জোনের অফিসার ইনচার্জ রতন শেখের নেতৃত্বে ঈদুল ফিতরের দিন হতে গতকাল পর্যন্ত পুলিশের ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো। দেশের বিভিন্ন স্থান হতে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে আসা পর্যটক-দর্শনার্থীদের পাশাপাশি স্থানীয় এলাকার পর্যটক- দর্শানার্থীদের জাফলং জিরো পয়েন্ট, সংগ্রাম বিজিবি ক্যাম্প ও আশপাশ এলাকা, আদিবাসী খাসিয়া পল্লী ও জাফলং চা বাগান এলাকায় কোনো ধরনের পর্যটক সমাগম করতে দেয়নি ট্যুরিস্ট পুলিশ।
গত শুক্রবার ঈদুল ফিতরের দিনে শুরু হওয়া ট্যুরিস্ট পুলিশের সাব জোনের কর্মকর্তা ও সদস্যদের কড়াকড়ির কারণে সিলেট তামাবিল মহাসড়কের নলজুরি, গুচ্ছগ্রাম, গোয়াইনঘাটের বঙ্গবীর পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যরা পর্যটকবাহী সব ধরনের যানবাহন ফিরিয়ে দিচ্ছে। অস্থায়ী টহল টিম পয়েন্টে পয়েন্টে বসিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটকদের ফিরিয়ে দেয়া এবং লকডাউন চলাকালীন সময় গোয়াইনঘাটের পর্যটন স্পটসমূহ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়।
গতকাল সরজমিন জাফলং পর্যটন এলাকার নলজুরি পরিদর্শনকালে দেখা যায় ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যক্রম। ঈদ কেন্দ্রিক জাফলংয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকদের বহনকারী বাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ ও মোটরসাইকেলসমূহের গতিরোধ করা হচ্ছে। পর্যটকবাহী এসব যানবাহনকে গতিরোধ করে পুনরায় একই রোড দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
জাফলং পর্যটন পুলিশের সাব জোনের অফিসার ইনচার্জ রতন শেখ জানান, সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে গোয়াইনঘাটে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাফেলা যানবাহনের গতিরোধ করে তা আবার ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। করোনার সংক্রমণরোধ ও সৃষ্টসমূহ ক্ষতি থেকে গোটা এলাকাকে সুরক্ষিত রাখতে লকডাউন চলাকালীন সময়ে কোনো ক্রমেই পর্যটক-দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। সরকারি পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সবক’টি পর্যটন স্পটে পর্যটন দর্শনার্থী প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
ছবি ক্যাপশনঃ সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক থেকে নলজুরি এলাকায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পর্যকদের ফিরিয়ে দয়ো হচ্ছে
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]