মোজাম্মেল হক, গোয়ালন্দ প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় নিজ বাড়ির পাশে বাঁশ ঝাড়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আকলিমা বেগম (৩২) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। শনিবার (২২ মে) গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার মৃত্যুদেহ উদ্ধার করে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। জানা গেছে, শুক্রবার (২১ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের আক্কাস মোল্লার স্ত্রী এবং একই এলাকার ২নং ওয়ার্ডের নবুওছিমুদ্দিন পাড়ার কালাম শেখের মেয়ে। তার ১২ ও ১৫ বছর বয়সি দুটি ছেলে মেয়ে রয়েছে।আকলিমাকে হত্যা করে ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছে, না পারিবারিক অশান্তি সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। তবে আকলিমার মা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে হত্যা করে বাঁশ ঝাড়ে ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছে। আমার মেয়ে শান্ত প্রকৃতির হওয়ায় বিয়ের পর থেকে মাঝে মধ্যেই তাকে বিনা কারণে মারধোর করতো। গত কয়েকদিন আগে পাশের বাড়ির এক গৃহবধুর সাথে আক্কাসের পরকীয়ার বিষয় জানাজানি হলে তাদের সংসারে চরম অশান্তির সৃষ্টি হয়। এসময় তিনি আহাজারি করতে করতে বলেন, আক্কাস আমার মেয়েকে হত্যা করেছে, আমি ওর ফাঁসি চাই।নিহতের স্বামী আক্কাস মোল্লা পরকীয়ার বিষয় নিয়ে অশান্তির কথা স্বীকার করে বলেন, গত কয়েকদিন আগে এলাকার কিছু বখাটে ছেলে পাশের বাড়ির এক গৃহবধুর সাথে আমাকে নিয়ে মিথ্যা রটনা রটায় এ বিষয়টা নিয়ে আমার স্ত্রী মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে। ঘটনার দিন রাতে খাওয়া দাওয়া করে আমরা সকলেই ঘুমিয়ে পড়ি। রাত ২টার দিকে ঘুম ভেঙে গেলে দেখি পাশে আমার স্ত্রী নেই। পরে আমরা খোজাখুজির এক পর্যায়ে দেখি যে সে বাড়ির পাশে বাঁশ ঝাঁড়ের বাঁশের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুঁলে আছে। এসময় আমরা দ্রæত তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ আল তায়াবীর বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং আত্মহত্যার বিষয়ে কোন অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।