রেজিঃ নং ডিএ ৬০০৯ | বর্ষ ১৪ | ৪ পৃষ্ঠা ৩ টাকা || সোমবার | ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
চট্টগ্রামে সাংবাদিক তারিকুল ইসলামকে হত্যার চেষ্টা
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
চট্টগ্রাম নগরীর পশ্চিম বাকলিয়া শান্তুি নগর বগারবিল এলাকায় মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে সংবাদ সংগ্রহ করায় ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় কাউন্সিল শহীদ এর দিকনির্দেশনায় পরিকল্পিত ভাবে রাতের আধারে দেশীয় অস্ত্র ও রড দিয়ে আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এ কে এম তারিকুল ইসলামের উপর সন্ত্রাসীরা সংঙ্গবদ্ধভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেন গত ২৭তারিখ রাত প্রায় ১১ঘটিকায়। অভিযোগ আছে এলাকায় অনেক দিন ধরেই স্থানীয় থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই স্থানীয় কাউন্সিল শহীদ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছেন এলাকায়। অপকর্ম করতে রেখেছেন তিনি সন্ত্রাসী বাহিনীও। যার ফলে এলাকায় কেউ কখনো প্রতিবাদ তো দূরের কথা মুখ খোলার সাহসটুকুও পান না। স্থানীয় কাউন্সিলর শহীদের অপকর্মের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। আর তাতেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগীতায় একাধিকবার হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা করছেন তিনি। ঘটনাগুলো বার বার স্থানীয় থানা পুলিশকে জানানোর পরেও কোন ধরণের আইনি ব্যবস্থা নেন নি বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাকলিয়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে । সংবাদ সংগ্রহের কাজে বাকলিয়া থানার ওসি রুহুল আমিনের কাছে হামলার ঘটনার দুই দিন আগে কাউন্সিলর শহীদ এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের তথ্য জানতে থানার ওসির বক্তব্য নিতে গেলে সাংবাদিকদেরকে বিভিন্ন ধরনের গাল মন্দ করে অপমান করে বের করে দেন ওসি রুহুল আমিন। ঘটনার কয়েকদিন পরেই আবারো হত্যার উদ্দেশ্যে কাউন্সিলার শহীদের দিকনির্দেশনায় একদল সন্ত্রাসী সংঙ্গবদ্ধ ভাবে হামলা করার জন্য তাকে পেছন থেকে তাড়া করে। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে দৌড় দিতেই সন্ত্রাসীরা একজন আরেকজনকে বলতে থাকে চালা গুলি চালা। কিন্তু দূভাগ্যবশত দৌড়াতে গিয়ে পেছন থেকে এক সন্ত্রাসীর বড় বন্দুকের উল্টা আঘাতে মাটিতে পড়ে যান তারিকুল ইসলাম। এর পর এলোপাথাড়ি ভাবে পেটাতে থাকেন তার পায়ে সন্ত্রাসীরা। পেটাতে পেটাতে পায়ের ফ্যাকচার হয়ে গেলে তারিকুলের চিৎকারের ঘটনাস্থলে স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে তাকে স্থানীয় এক হসপিটালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক বলছেন পা কোন ভাবেই নড়াচড়া করা যাবে না। পায়ে প্রচন্ড আঘাত করায় ফ্যাকচার হয়েছে। এমন অবস্থায় বিশ্রামে কমপক্ষে তাকে তিন মাস থাকতে হবে। এ দিকে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূহুল আমিন এর নিকট ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ঘটনার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান তিনি।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]
Copyright © 2024 দৈনিক শিরোমনি | shiromoni.com. All rights reserved.