চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি: চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিন আইচা থানার চরকচ্ছপিয়া গ্রামের অসহায় কৃষক পরিবারের ভোগদখলীয় জমি বন্দোবস্ত নেয়া সহ প্রভাব খাটিয়ে দু’টি বিল্ডিং ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী মুশফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে। জানা যায়, তিনি দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত আছেন। অভিযোগে কৃষক সিরাজ বেপারী জানান, দক্ষিণ আইচা থানার চরকচ্ছপিয়া গ্রামের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে চরকচ্ছপিয়া মৌজা’র দিয়ারা দাগ নং ৭৫৩, ১৩৪২ নং খতিয়ানে ২৬ শতাংশ জমি ৫০ বছর যাবৎ ভোগদখল করে আসছি। এদিকে চরফ্যাশনের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান উক্ত জমি নামে বেনামে ভূয়া বন্দোবস্ত নেয় এবং জমি নিজের বলে ছিনিয়ে নেন। মুশফিকুর রহমানের দাবীকৃত বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে চরফ্যাশন সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা দায়ের করি যার নং ১৫০/২০১৮। মামলা চলাকালীন অবস্থায় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান আমাদের উপর ষরযন্ত্র পূর্বক বিভিন্ন মহল থেকে চাপ ও হুমকি ধামকি দিয়ে এক ঘরো করে ফেলেন। এবং আমাদের ৫০ বছরের ভোগ দখলীয় জমি তার দখলে নিয়ে মাটি ভরাট করে দুইটি বিল্ডিং ঘর নির্মাণ করেন। সিরাজ বেপারী অভিযোগে আরও জানান, ওই মুশফিকুর রহমান একসময় দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত ছিলেন। সেই সুবাধে নামে বেনামে চরমানিকা ইউনিয়নে জমি ভূয়া বন্দোবস্ত নেন। এবং বিভিন্ন মহলের সঙ্গে তার সম্পর্ক ঘরে তুলেন। তার অর্থ আর ক্ষমতার কাছে আমরা অসহায় বলে সিরাজ জানান। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, একজন সরকারি কর্মকর্তা কিভাবে খাস জমি বন্দোবস্ত নেন? এমন প্রশ্ন সকলের। অভিযুক্ত ব্যক্তি চরমানিকা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নামে বেনামে জমি বন্দোবস্ত নিয়ে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। চরকচ্ছপিয়ার মো. হানিফ নামে এক বৃদ্ধ ব্যক্তি বলেন, চরফ্যাশনের লীনকমল ইউনিয়ন ভূমি কর্মকতা মুশফিকুর রহমান কিছুদিন আগে চরকচ্ছপিয়া গণস্বাস্থ্য সংলগ্ন ৪০ শতাংশ বন্দোবস্তীয় জমি আমার কাছে বিক্রি করে টাকাও নিয়েছে। এদিকে ভুক্তভোগী অসহায় সিরাজ তার ভোগদখলীয় ২৬শতাংশ জমি ফেরত চান।এ বিষয়ে অভিযুক্ত নীলকমল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০০৩ সালে জমিটি আমার ছেলের নামে বন্দোবস্ত নেয়া হয়। এবং এলাকার নেতৃবৃন্দ মাধ্যমে বসাবসি করেই ওই জমি দখলে গিয়ে ঘর নির্মাণ করি। তবে আদালতের রায় আমার বিরুদ্ধে গেলে কাঠামো সড়িয়ে দখল ছেড়ে দিবেন বলে জানান। চরমানিকা ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, যেই নামে বন্দোবস্ত জমি দাবী করেন ভূমি কর্মকতা, সেই মাহফুজুর রহমান, পিতা মোশাররফ হোসেন নামে অত্র ইউনিয়নে কোনো ব্যক্তির অস্তিত্ব পাওয়া যায় নাই।