সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় দক্ষিণ আইচা বাজার জিরো পয়েন্ট থেকে মাদ্রাসার জমির সংলগ্ন ঈদগা মাঠ চত্বর পর্যন্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন অত্র মাদ্রাসা’র ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মচারী, কমিটি ও অভিভাবকবৃন্দ।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আবুল বশার হেলালী, সহকারী শিক্ষক আঃ শহীদ, মাওলানা হাবিবউল্লাহ, মোঃ ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, দক্ষিন চর আইচা রাব্বানিয়া আলিম মাদ্রাসা সহ ধর্মীয় চারটি প্রতিষ্ঠানের নামে নিঃ সন্তানী জৈনিক ইব্রাহিম ফেদা ১৯৬৯ সালে ২.৮৭ শতাংশ জমি নন রেজিস্ট্রারী (স্টাম্প) এর মাধ্যমে দান করেন। উক্ত জমি ১৯৭৬/৭৭ সালে দিয়ারা মাঠ জরিপে রাব্বানিয়া আলিম মাদ্রাসার নামে ৭২ শতাংশ জমি রেকর্ডভুক্ত হলে দীর্ঘ ৫৪ বছর যাবত ওই জমিতে রাব্বানিয়া আলিম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানটি ভোগ দখলে থাকিয়া কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু দক্ষিণ চর আইচা মৌজার দিয়ারা ২১৮ নং খতিয়ানের ২৬১,২৬২,২৬৩, ২৬৪,২৬৫,২৬৬,ও ২ নং দাগের ৭২ শতাংশ জমি আক্তার ঘরামি গংরা চলমান বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে (বিডি এস) জরিপ কর্মকর্তা কর্মচারী সাথে আঁতাতের বিনিময়ে তাদের নামে (বিডি এস) খতিয়ানে রেকর্ড করে নেন।
বক্তারা আরো বলেন, আক্তার ঘরামির মা জৈনিক মালেকজান বিবি ভাইয়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দান করা জমি ফিরে পেতে বাদী হয়ে চরফ্যাশন সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন যাহার নং ১৩৭/২০০১ইং। কিন্তু আদালত ০৯/০৬/২০০৫ ইং সালে একতরফা রায় ও ডিক্রী প্রদান করলে মামলাটি স্থগিত করার জন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলোর পক্ষে বাদী হয়ে মো. ইব্রাহিম খলিল ও নূরল ইসলাম দালাল চরফ্যাশন সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন যাহার নং ২৪০/১৩ইং। মামলাটি কয়েক দফা শুনানি পর দেওয়ানী ১৩৭/২০০১ নং মামলা ০৯/০৬/২০০৫ ইং তারিখের রায় এবং ১৬/০৬/২০০৫ ইং তারিখের ডিক্রীর পরবর্তী সকল কার্যক্রম স্থগিত করার মর্মে গত ৯/০১/২০২৩ ইং তারিখে চরফ্যাশন সিনিয়র সহকারী জজ আদালত রায় দেন। পাশাপাশি উক্ত জমি সহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলোর পক্ষে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির রায় দেন আদালত।