জুলফিকার চরফ্যাশন প্রতিনিধি।। পবিত্র ঈদুল ফিতর ঘিরে জমতে শুরু করেছে চরফ্যাশন উপজেলা মফস্বল বাজার গুলোতে ঈদের বেচাকেনা। ২০রমজানের পর থেকেই দক্ষিণ আইচা, রসুলপুর, দুলার হাট, চেয়ারম্যান বাজার শপিং মার্কেট ও বিপনিবিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়ছে। এদিকে কোভিড ১৯ মহামারির বছর গুলোর লোকসান পুষিয়ে উঠতে বিক্রেতাগন অধিক আগ্রহী হয়ে ক্রেতাদের মনযোগ আকর্ষণে গুরুত্ব দিচ্ছে। চরফ্যাশন উপজেলা সদর পোশাকের পাশাপাশি জুতা, কসমেটিকস ও জুয়েলারি দোকানগুলো সামান্য বিরতিতে দিন রাত খোলা থাকছে। তবে সদরের বাহিরের বাজার গুলোতে নির্দিষ্ট সময়ে দোকান খোলা রাখতে দেখা যায়। দক্ষিণ আইচা বাজার আজ সকাল ১১টায় নুর গার্মেন্টস, ইভান গার্মেন্টস ও ফ্যাশন গার্মেন্টস দোকানে দেখা যায় পুরুষের তুলনায় মহিলা ক্রেতাদের ভীড়। ব্যাস্ততার ফাঁকে কাপড় ব্যাবসায়ী নিরব বলেন আগের দু বছরের চেয়ে এই ঈদে ভালো বিক্রি হচ্ছে। দিনে মহিলা কাষ্টমার বিকেলের পর পুরুষ কাষ্টমারের ভীড় থাকে। সারাদিন কর্ম ব্যস্ততা সেড়ে সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে পুরুষরা বাজারে আসে। গভীর রাত পর্যন্ত গ্রাম্য বাজারগুলোতে কেনাবেচা চলে। ঈদে নতুন কিছু কালেকশন আছে যাহা ক্রেতার চাহিদা ও সাধ্যের মধ্যেই আছে বলে কাপড় ব্যাবসায়ী বলেন। কসমেটিকস ব্যাবসায়ী শাহাবুদ্দিন বলেন ক্রেতাগন প্রসাধনী কিনার ক্ষেত্রে মান, ঘ্রান, উৎপাদন তারিখ গুরুত্বের সাথে দেখে। আর এক কসমেটিকস ব্যাবসায়ী ইব্রাহিম বলেন এই ঈদে ক্রেতাদের যথেষ্ট চাহিদা আছে বিক্রিও ভালো। শিল্পী জুয়েলার্স দোকান ব্যাবসায়ী জুয়েল দাস জানান মফস্বলে দীর্ঘ সময় স্বর্ন ব্যাবসার সাথে তার পরিবার জড়িত। ঈদুল ফিতরে অন্যান্য কেনাকাটা বেশি হলেও স্বর্ন বিক্রি বাড়ে কোরবানির ঈদে। কারন হিসেবে তিনি বলেন ঈদুল ফিতরে জামাকাপড় কসমেটিকস চাহিদা বেশি থাকে। এতে রোজগার ব্যাক্তির হাত খালি হয়ে যায়। কোরবানির ঈদে অন্যান্য জিনিসের প্রতি চাহিদা তেমন না থাকায় স্বর্নের মার্কেট জমজমাট থাকে। দক্ষিন আইচা বাজার মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা ফাতেমা নামে একজন ক্রেতা বলেন, ঈদের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছি, শাড়ি, থ্রি পিচ ক্রয় করেছি। চাহিদা ও মূল্য সাধ্যের মধ্যে আছে এতে তিনি খুশি। শাকিব নামে ক্রেতা যুবক বলেন গ্রামের অধিকাংশ মানুষ ঈদ কেনাকাটা উপজেলা সদর থেকে কিনতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকে। মফস্বলের সাথে শহরের যোগাযোগ ব্যাবস্থা ভালো থাকায় গ্রাম্য বাজার দোকান গুলোতে নতুন কালেকশন পাওয়া যায়। এই ঈদে পছন্দ মতো জুতা কিনতে পেরেছে বলে তিনিও খুশি। চরফ্যাশন উপজেলায় ৫টি থানায় ৫লাখ মানুষের অধিক বসবাস। আয়ের মূল ক্ষেত্র কৃষি ফসল, মাছ ধরা ও লোকালয়ে ব্যাবসা। ধান, তরমুজ, শাক সবজি উৎপাদনে এবার কৃষকদের মুখে হাসি এবং সিজন গুলোতে জেলেদের জালে মাছও পড়েছে ভালো। সচেতন মহল মনে করে করোনা মহামারির গেল দুই বছরের ঈদ আনন্দের তুলনায় পরিবার গুলো এবার ঈদুল ফিতর ভালোভাবেই উদযাপন করতে পারবে।
১৭ views