জুলফিকার চরফ্যাসন উপজেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ চরফ্যাসনে এক গৃহকর্মী কিশোরী(১৪)কে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে গৃহকর্তার ভাতিজা মোঃ উজ্জল নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। গত ১০ মার্চ রাতে আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের হাজিরহাট এলাকায় গৃহকর্তা স্কুল শিক্ষক কামরুল ইসলামের বসত ঘরে এঘটনা ঘটে। এঘটনার ৫দিন অতিবাহিত হলেও প্রভাবশালী অভিযুক্ত ও তার পরিবারের দফারফা চেষ্টা ও অব্যাহত হুমকি ধামকিতে মামলা করতে পারেনি ভিক্টিম পরিবার। যুবক উজ্জলের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে আতংকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ভিক্টিম কিশোরীর পরিবার। ভিক্টিমের ভাই দোকান কর্মচারী অভিযোগ করেন, তার বোন একই গ্রামের স্কুল শিক্ষক কামরুল ইসলমের বাসায় কয়েক বছর যাবত গৃহকর্মীর কাজ করছেন। ওই বাড়ির গৃহকর্তা কামরুল ইসলামের চাচাতো ভাতিজা উজ্জল তার বোনকে প্রায় সময় উত্যক্ত করতো। তার বোন বিষয়টি তাদেরকে জানালে তারা গৃহকর্তাকে বিষয়টি জানান। এবং বোনকে ওই বাড়ি থেকে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু গৃহকর্তা বিষয়টি সুরাহ করে দিবেন বলে তার বোনকে কাজে রেখে দেন। গত ১০ মার্চ রাতে গৃহকর্মী কিশোরী একাই ঘরে ছিলেন। গৃহকর্তা কমরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী বাড়িতে না থাকার সুযোগে ওই বখাটে যুবক উজ্জল গৃহকর্তার ঘরে ঢুকে তার কিশোরী বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ভিক্টিম কিশোরীর ঝাপটাঝাপটির শব্দ পেয়ে তাৎক্ষনিক ওই বাড়ির অপর নারীরা ওই ঘরে গেলে অভিযুক্ত উজ্জল ঘর থেকে বেড়িয়ে যায়। গৃহকর্তার ফোনে খবর পেয়ে তিনি রাতেই ওই বাড়িতে ছুটে যান এবং তার বোনকে নিয়ে বাড়ি ফিরে গেলে সমঝোতার জন্য দৌর ঝাপে ব্যস্ত হয়ে পরেন স্থানীয় মাতাব্বরসহ অভিযুক্ত উজ্জলের পরিবার। অভিযুক্ত উজ্জলের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় সমঝোতা চাপে মামলা করতে পারেনি তার পরিবার । ঘটনার ৫দিন অতিবাহিত হলেও অভিযুক্ত উজ্জলের পরিবারের ভয়ে কোন আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেননি। প্রভাবশালী ওই পরিবারের ভয়ে আতংকে পালিয়ে ¯^জনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে তার পরিবারের সদস্যরা।গৃহকর্তা স্কুল শিক্ষক কামরুল ইসলাম জানান,ঘটনার রাতে তিনি এবং তার স্ত্রী চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ছিলেন। গৃহকর্মী ওই কিশোরী রাতে তার ঘরে বাড়ির অপর নারীদের সাথে রাত্রীযাপন করেছিলেন। তবে ওই যুবক গেটের বাহির থেকে তাকে বিরক্ত করতে গেলে ওই কিশোরী চিৎকার দিলে যুবক উজ্জল সটকে পরেছেন বলে মুঠোফেনে বাড়ির সদস্যরা আমাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি ওই পরিবারের সাথে সমোঝতার চেষ্টা চলছে। অভিযুক্ত উজ্জল আত্মগোপনে থাকায় তার বক্তব্য জানাযায়নি।তবে উজ্জলের বাবা হাবিবউল্লাহ জানান, তার ছেলে উজ্জল ভুল করেছে। আমারা জানতে পেয়ে তৎক্ষনিক বিষয়টি সমোঝতা করে দিয়েছি। চরফ্যাসন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া জানান, ঘটনাটি আমার জানা নাই। ভিক্টিম পক্ষ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।