রেদোয়ান হাসান সাভার,ঢাকা দৈনিক শিরোমণিঃ
করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান সাতদিন লকডাউনের প্রথমদিনে ঢাকার ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় অলিগলিতে, গ্রামের বাজারে দেখা গেছে ব্যাপক জনসমাগম। এছাড়া দেখা গেছে, দোকানের শাটার ওঠা-নামার দৃশ্য। শুক্রবার (২ জুলাই) রাতে উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়ালীপাড়া বাজার, সোমভাগ ইউনিয়নের কাউন্সিল বাজার, কালামপুর বাজার, ধামরাই বাজার, ঢুলিভিটা, কাওয়ালী পাড়া বাজার এলাকা ঘুরে এসব দৃশ্য দেখা যায়। সারাদিন কিছু প্রাইভেট যানবাহনের পাশাপাশি রিকশা চলাচল স্বাভাবিক পর্যায়ে দেখা যায়।এসময় দেখা যায়, এসব এলাকার গলিতে গলিতে বেশ কিছু দোকানের অর্ধেক শাটার খোলা রেখেছে।যেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পান সঙ্গে সঙ্গে শাটার নামিয়ে কিছু সময়ের জন্য উধাও হয়ে যান মালিকরা। এছাড়া রাস্তাঘাটে তিন চাকার ভ্যানে করে সবজিসহ নানা রকম জিনিসপত্র বিক্রি করতে দেখা যায়। সেখানেও লোকজনের ভিড় দেখা যায় এসব জিনিসপত্র ঘিরে।বারবাড়িয়া বাজার এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে এভাবেই ঘুরছিলেন আরিফুল ইসলাম নামে একজন। জানতে চাইলে তিনি ও তার বন্ধুরা বলেন, ‘আমরা কলেজে পড়ি। কলেজ তো বন্ধ। সন্ধ্যায় একটু করে বের হই। আজকে লকডাউন তাই রাস্তায় দেখতে আসছি কেমন কড়াকড়ি আছে।কাওয়ালী পাড়া বাজারেও দেখা গেলো চায়ের দোকানে জনসমাগম। সেখানে বসার ব্যবস্থা বন্ধ করেই খাবার-বিক্রি করছেন মালিকরা।জানতে চাইলে সেখানে আড্ডারত কয়েকজন বলেন, মূলত রাস্তায় বেড়িয়েছি বাজারের উদ্দেশ্যে কিন্তু টার্গেট কি ধরনের কঠোর ‘লকডাউন’ পালন হচ্ছে তা দেখা।একই অবস্থা দেখা গেছে দোকানগুলোতেও। অর্ধেক শাটার খুলে রেখে ক্রেতাদের কাছে পণ্য বিক্রি করছেন তারা।জানতে চাইলে কাউন্সিল বাজারের দোকানদার বাবুল হোসেন বলেন, ‘মানুষজন এসে এমনিতেই শাটারে ধাক্কা দেয়। আর শাটার তুলে মাল দিয়ে দেই। আবার পুলিশ আসলে লাইট বন্ধ করে দোকানে চুপ করে বসে থাকি। একই কথা বলছেন আরো কয়েকজন দোকানি।তারা বলেন, ‘লকডাউন হলেও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান না খোলার উপায় নাই। মানুষের দরকারে তাই এমনে করে দোকান খোলা রাখছি।এবিষয়ে ধামরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অন্তরা হালদার বলেন, ধামরাই পৌর শহরের বিভিন্ন জায়গায় দোকান খোলা আযথা বাহিরে ঘোরাঘুরি করায় ১২জনকে ১০টাকা মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এমন কাণ্ড যারাই করবেন, তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
৫ views