চা্ঁদপুর সদরের হরিণা নৌ পুলিশ ফাঁড়ি জনবল সংকটের মাঝে চলে আসছে।
দীর্ঘ দিন যাবত এ ফাঁড়িটি জনবল সংকট নিয়ে চলে আসলেও সেদিকে কারো মাথা ব্যাথা নেই।
জনবল সংকটের পাশাশি রয়েছে স্পীড বোর্ট সংকট।
কোনো জেলে নদীতে জাল ফেললে কিংবা ডাকাতির ঘটনা ঘটার সংবাদ পেলেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব না।
অপরদিকে নদীতে মা ইলিশ ও ঝাটকা নিধন অভিযানের সময় জনবল সংকট ও স্পীড বোর্ট না থাকায় অভিযানে সফল হতে কষ্টকর হয়ে পড়ে।
কিন্তু অভিযান চলাকালীন একটি দালাল চক্র ফাঁড়ির আইসি মোঃ হাসনাত জামানের নাম ভাংগিয়ে জেলেদের নিকট টাকা নিয়ে নদীতে নামার জন্য সহযোগিতা করছে। আর লাভবান হচ্ছে দালাল চক্রটি। এরকম অভিযোগ করলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি।
জানা যায়, স্হানীয় দালাল চক্র জেলেদের নদীতে নামার জন্য উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে।পুলিশ নদীতে অভিযান করে চলে আসলে অথবা এক স্হান থেকে অন্য স্হানের দিকে গেলে দালাল চক্র জেলেদেরকে নদীতে নামার জন্য পাঠায়।এভাবে চলে হরিণা নৌ পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় মা ইলিশ ও ঝাট ইলিশ নিধন।
ফাঁড়িতে ১টা সরকারি স্পীড বোট থাকলেও বোটটি পুরাতন হওয়াই জেলেদের নৌকা তাড়া করে নৌকা ধরতে সক্ষম হয় না।, স্পীড বোটটি অনেক সময় ঘাটেই দেখা যায়। স্হানীয় কতিপয় অসাধু জেলে দালাল চক্রের মাধ্যমে ফাঁড়ির আইসির সহিত নদীতে মাছ ধরার জন্য যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হয়। ফলে অনেক জেলেদের মাঝে অসন্তুষ্টি বিরাজ করে। ইনচার্জ নিজে অভিযান পরিচালনা করে ৩টি নৌকা ও বিপুল সংখ্যক কারেন্ট জাল আটক করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় নিজে বাদী হয়ে ৩ টি মামলা রুজু করেন। মামলা না দেওয়ার জন্য অনেকেই তাহার নিকট তদ্বির করলেও তিনি কর্ণপাত করেননি বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্হানীয় জনগন জানান।হরিনা ফেরীঘাটের উত্তর পার্শ্বে খালে শত শত নৌকা থাকে অভিযানকালীন সময়। খাল দিয়ে কোন নৌকা ঢুকতে কিংবা বাহির হতে না পারে সেজন্যে ইনচার্জ ফাঁড়ির ফোর্স ও গ্রাম পুলিশদের নিয়ে বাঁশের বেড়া দিয়ে খালের মুখ বন্ধ করে দিলে কে বা কাহারা রাতের অন্ধকারে বাঁশ খুলে নিয়ে যায়।স্হানীয় জেলেদের মারফত জানা যায়, হরিনা ও তার আশপাশ এলাকাতে বড় বড় কতগুলো খাল আছে। সেখানে জেলেরা নৌকা নিয়ে ওৎ পেতে বসে থাকে একটু সুযোগ পেলেই নদীতে নামে। আর এই কাজে সহায়তা করে কতিপয় অসাধু আড়তদার।তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য পুলিশ ফাঁড়ির নাম দিয়ে চালিয়ে যায়। অনেক সময় হরিনা নৌ ফাঁড়ির ফোর্স গিয়ে খালের মুখে অবস্হান নিলেও জেলেরা সুবিধা করতে না পেরে মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ের চড়ে নির্জন এলাকায় অবস্হান নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নদী মাছ ধরতে নামে। এই ব্যাপারে নৌ ফাঁড়ির একজন সদস্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, স্হানীয় কেউ আমাদের ডিউটি পার্টির উপর নজর রাখেন ও আমাদের গতিবিধি সম্পর্কে তৎক্ষণাৎ বলে দেয়। ফলে আমাদের অভিযান ডিউটির সফল করতে কষ্ট হয়।
এব্যাপারে হরিণা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির আইসি হাসনাত জামানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।