ওমর ফারুক, চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি:চাঁদপুর: কচুয়ায় প্রতিহিংসা জেরে ধরে মাছের প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ নিধন করছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (১৭ মে) ভোররাতে উপজেলার কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের নাহারা গ্রামে কাউছার আহমেদের মাছের প্রজেক্টে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রজেক্টের মালিক কাউছার আহমেদ বাদী হয়ে কচুয়া থানায় অজ্ঞাত নামা আসামী দিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানাযায়, প্রজেক্টের মালিক কাউছার আহমেদ প্রায় ২০ একর জমি ও পুকুর মিলে মাছ চাষ করে আসছিল, ওই পুকুরের দেশীয় রুই, কাতল, তেলাফিয়া ও র্কাপজাতীয় মাছ চাষ করা হয়। গত কয়েক মাস পূর্বে ২৮ আগস্ট ২০২২ সালে কাউছার আহমেদের অন্য একটি মাছের প্রজেক্টে বিষ দিয়ে প্রায় ৮ লাখ টাকার মাছ নিধন করে দূর্বত্তরা। সে ৮ লাখ টাকার ক্ষতি পূরন শেষ না হতেই দ্বিতীয়বার বুধবার ভোররাতে তার অন্য মাছের প্রজেক্টে তদ্রুপ বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করে দূর্বত্তরা।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, শত্রুতার জেরে কতিপয় লোকজন আমাদের পরিবারকে বিভিন্ন ক্ষতি করার চেষ্টা চালান। ক্ষতি করতে না পেরে বুধবার ভোররাতে আমাদের মাছের প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করে। এতে পুকুরে থাকা সকল প্রকারের মাছ মরে ভেসে উঠে। এতে আমাদের প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মারা যায়। ঋণ করে মাছের ব্যবসা নেমেছি। এখন আমরা ঋণ কিভাবে পরিশোধ করবো বলে কান্না ভেঙে পরে।
প্রজেক্টের মালিক কাউছার আহমেদ জানান,আমি দীর্ঘদিন ধরে প্রায় ২০ একর জমি ও পুকুর মিলে মাছ চাষ করে আসছি, কয়েক মাস পূর্বে কে বা কাহার আমার আরেকটি মাছের প্রজেক্টে বিষ দিলে ৮ লাখ টাকার মাছ মারা যায়। আবার বুধবার ভোর রাতে কে বা কাহারা নতুন করে নতুন প্রজেক্টে বিষ দিয়েছে। এতে আমার পুকুরের সকল মাছ মারা গেছে। এখন আমার কি হবে। আমাকে রাস্তায় নামিয়ে দিলো, আমার ভিক্ষা করার ছাড়া আর কোন পথ নেই।
এদিকে এঘটনায় ওই ওয়ার্ডের মেম্বার কাউছার আলম বলেন, মৎস্য ব্যবাসায়ী কাউছার আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে আসছে। করোনাকালীন অনেক অসহায় মানুষকে সহযোগীতা করেছে ও কাউছার আমেদ এর মাছের প্রজেক্টে ২০ জন লোক কাজ করে তাদের পরিবারের সংসার চালাচ্ছেন। দুবার দুটি মাছের প্রজেক্টে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলেছে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে । মাছের প্রজেক্টে যারা বিষ প্রয়োগ করেছে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে তাদের কঠিন শাস্তি দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয় কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম খলিল জানান, মাছের প্রজেক্টের মালিক কাউছার আহমেদের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।