সবুজ ভদ্র, বিশেষ প্রতিনিধি, চাঁদপুর : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাঁধা প্রদান করায় বালু খেকো তার সমর্থকদের নিয়ে কলমাকান্দা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের অফিসে হামলা ও ভাংচুর করেন। তাদের পূর্ব পরিকল্পিত হামলায় কলাকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর হতে রক্ষা পায়নি।
ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায় গত ২৭ জুলাই বুধবার রাত ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকার লোকজনের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্তকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থ পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুর পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার), মতলব সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ইয়াসির আরাফাত, মতলব উত্তর থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজাহান কামাল।
ঘটনার তথ্য মতে জানা যায়, উপজেলার মেঘনা নদীতে কয়েক বছর যাবৎ থেকে কাজী মিজান, কাজী মতিন, মুন্সিগঞ্জের আফসার উদ্দিন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে মতলব উত্তর উপজেলার নাছিরাকান্দি চরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয়রা সংঘবদ্ধভাবে একাধীকবার বালু খেকোদের বালু মহলে চরকে রক্ষার্থে বাঁধা প্রদান করে আসছে। ঘটনার ১দিন পূর্বেও স্থানীয়রা সংঘবদ্ধ হয়ে নাছিরাকান্দি চরে ফসলী জমি রক্ষার্থে গেলে বালু খেকোদের ভারাটে সন্ত্রাসীরা স্থানীয়দের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১১ জনকে মারাত্মকভাবে আহত করে, এবং ১জন নিখোঁজ রয়েছে। বালু খেকোদের ভারাটে সন্ত্রাসীরা স্পিডবোট যোগে মহড়া দিয়ে থাকেন। যাতে করে কেউ বালু মহলে প্রবেশ করতে না পারে। অভিযোগ উঠেছে বালু খেকো মিজান কাজীর প্রত্যক্ষ মদদে এ হামলা চালিয়েছেন তার সমর্থকরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কলাকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে বসে দলীয় কথাবার্তা বলছেন আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রাত ৮টার সময় স্থানীয় বোরহান সরকার, আরিফ, রিপন, আনোয়ার’সহ শতাধীক উৎশৃঙ্খল যুবক পার্টি অফিসের সামনে এসে অশ্লীলভাবে গালিগালাজ করতে থাকে।
এমতাবস্থায় আক্রমনকারীরা পার্টি অফিসের থাই কাঁচের দরজা জানালা ভেঙ্গে অফিস কক্ষে প্রবেশ করে কিছু বুঝে উঠার পূর্বেই বালু খেকোরা ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময়
আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও কার্যালয়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করা হয়। অফিসে থাকা ব্যানার ফেস্টুন ও আসবাবপত্র ভেঙ্গে ফেলে। ভাংচুরকালে মতলব উত্তর থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজাহান কামাল স্ব-শরীরে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, সাংবাদিকরা কার্যালয়ে প্রবেশের পূর্বেই পার্টি অফিসে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ভাংচুুরের ছবি সরিয়ে ফেলেন। আমরা কোনক্রমে ছবি তুলে রেখেছি।
এ প্রসঙ্গে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।