নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা ৪নং বদলকোট ইউনিয়ন রুদ্রামপুর গ্রামে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সাকিনুর রহমান সামিরের(৯) মৃত্যু হয়েছে। তার পিতার নাম বেল্লাল হোসেন। তিনি দীর্ঘ দিন থেকে সৌদি আরব প্রবাসী।
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ০২:৩০মিনিটে একই এলাকার আবুল কাশেমের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের চাদের তারে পা লেগে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিকেলে দূর্ঘটনা ঘটার পর চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সামির নানা বাড়ী রুদ্রামপুর থেকে পড়ালেখা চালিয়ে আসছিল। সে মনারপুর-রুদ্ররাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র।
এলাকাবাসী ও স্হানীয় সূত্রে জানায় যায়, সামির সহপাঠীদের নিয়ে জুম্মার নামাজের পরে খেলতে যায় নির্মানাধীন আবুল কাশেমের বিল্ডিংএ। বিল্ডিং এর ছাদের উপরে (ছাদের সাথে মিশানো) পল্লীবিদ্যুৎএর ৪৪০বল্ডের লাইনে পা আটকে সামির বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়। বিল্ডিং এ নিরাপত্তার বেস্টনী ছিলো না।
বদলকোট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল হান্নান বলেন আবুল কাশেম সাহেব বিল্ডিংটি নিয়মনীতি মেনে করলে সামিরের মৃত্যু হতো না।
গত একবছর আগেও বিল্ডিং এর কাজ করার সময় মিস্ত্রী এ বিদ্যুৎ লাইনে আহত হয়েছে।
সামিরের নানা আলী আকবর বলেন এর আগে একই বিল্ডিংয়ে কাজ করার সময় কাজের লোকজন দুবার আহত হয়। তারপরও আবুল কাশেমের পরিবার সতর্ক না হওয়ায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে আবুল কাশেমের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিল্ডিংয়ের কাজ শুরু করলেও করোনা ও শারীরিক অসুস্থতার জন্য নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারেননি। নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের উপর ৪৪০ কারেন্টের লাইন থাকা প্রসঙ্গে বলেন, লাইনটি অন্যত্র সরানোর ব্যাপারে বারবার পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে বলা হলেও বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপণ করা হয়েছে।
নোয়াখালীর পল্লীবিদ্যুৎ চাটখিলের ডিজিএম মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, তিনি এ ব্যাপার টি শুনছেন লাইন স্হান্তরের জন্য কেউ কোন আবেদন করেনি।
উল্লেখ্য মৃত সাকিনুর রহমান সামির (পিতাঃ বেল্লাল হোসেন মাতাঃ সোহাগী বেগম) এর বাড়ী নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা ৫নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পাল্লা গ্রামে। পরিবারের একমাএ ছেলেকে হারিয়ে বেল্লাল হোসেন অত্যন্ত শোকাহত। তিনি বলেন বিল্ডিংএর মালিক ও পল্লীবিদ্যুৎ এর এমন গাফিলতির জন্য আর কারো বুক খালি না হয়। তিনি মৃত সাকিনুর রহমান সামির আত্মার মাগফের জন্য সকলের নিকট দোআ চান মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতের মেহমান করে।
৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ বিল্লাল হোসেন বলেন গ্রাম্য শালিশের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানান।