নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী জেলা কবিরহাট উপজেলাধীন চাপরাশিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর ও পিয়ন নিয়োগে চলছে রমরমা বাণিজ্য। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থীদের আই ওয়াস করার জন্য নামমাত্র নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ভাতিজা ও প্রধান শিক্ষকের ভাতিজাকে নিয়োগ দেয়ার পাঁয়তারা চলছে। এজন্য চাপরাশিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার ও পিয়ন নিয়োগ পরীক্ষা রহস্যজনকভাবে গোপনে বসুরহাট এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়। এর আগেও উক্ত বিদ্যালয়ে লাইব্রেরিয়ান নিয়োগে ৭ লক্ষ টাকার নিয়োগ বাণিজ্য হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। বিদ্যালয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে যদি এত অনিয়ম হয় তবে জাতি কি শিক্ষা নিবে- এমন প্রশ্ন থেকে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রভাবশালী সদস্য বলেন, এখানে সব নিয়োগের টাকা ভাগাভাগি হয়। এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে প্রশ্ন করা হলে তিনি এসব বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানায়।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুনিল কুমার দাশ জানান, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যদের সাথে সমন্বয় করে যে কোন নিয়োগ দেওয়া হয়। এসব অভিযোগ সম্পর্ণ মিথ্যা। আমি সভাপতি থাকাকালীন কোন নিয়োগের বিষয়ে বাণিজ্য হয়নি। তিনি বলেন, এক শ্রেণীর লোক আমাকে হেয় করতে এসব করছে। তিনি নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয় অস্বীকার করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতা অভিযোগ করে বলেন, ড্যাম লোক দিয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে এবং কবিরহাট উপজেলার পরীক্ষা কোম্পানীগঞ্জে নেয়া হয়েছে। হোটেলে (নাম অপ্রকাশ) বসে আই ওয়াস করে কমিটির নিজের লোককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে (স্কুল সভাপতির ভাতিজা রঞ্জু দাস এবং প্রধান শিক্ষকের ভাতিজা দিলীপ চন্দ্র ভৌমিককে নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে)।