গত অক্টোবর মাসে ওয়াশিংটন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কিছু বড় বড় পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছে। এর ফলে কোম্পানিগুলোর জন্য চীনের কাছে চিপস, চিপ তৈরির যন্ত্রপাতি এবং মার্কিন সফটওয়্যার বসানো প্রযুক্তি বিক্রি করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে – তা সেই কোম্পানি পৃথিবীর যে দেশেরই হোক না কেন।
এ ছাড়াও ওই আইনে মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য চীনের বিশেষ বিশেষ কিছু ফ্যাক্টরিতে “চিপ উন্নয়ন বা উৎপাদনে” সহায়তা দেয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এটি চীনের ওপর এক বড় আঘাত – কারণ তারা তাদের সদ্য শুরু হওয়া চিপ-উৎপাদন শিল্পের জন্য হার্ডওয়্যার এবং প্রযুক্তিবিদ - দুটিই নিয়ে যাচ্ছে।
এর ফলে নেদারল্যান্ডসের একটি কোম্পানি এএসএমএল – চীন থেকে যে রাজস্ব আয় করতো তার প্রায় এক-চতুর্থাংশ হারাতে যাচ্ছে। এটিই হচ্ছে একমাত্র কোম্পানি যারা সর্বাধুনিক লিথোগ্রাফিক মেশিন তৈরি করে – যেসব যন্ত্র ‘লিডিং এজ’ চিপ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ট্রিভিয়াম চায়নার একজন বিশ্লেষক লিংহাও বাও বলছেন, “এ ক্ষেত্রে প্রতিভাবান লোকের গুরুত্ব অপরিসীম। আপনি যদি চীনের সেমিকন্ডাকটর কোম্পানিগুলোর নির্বাহীদের দিকে তাকান, দেখবেন তাদের অনেকেই আমেরিকান পাসপোর্টধারী। তাদের অনেকে আমেরিকায় প্রশিক্ষণ নিয়েছে, তাদের গ্রিনকার্ড আছে। কাজেই চীনের জন্য এখন এক বিরাট সমস্যা তৈরি হয়েছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]