গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চীনের বিরুদ্ধে আফ্রিকায় নব্য উপনিবেশবাদের অভিযোগ তুলে এসেছে পশ্চিমা বিশ্ব। যদিও চীন উপনিবেশিক আমলের সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর মতো ক্ষমতা দখল করে না, তবুও বলা হয় যে সম্পর্কটা অনেকটা সেরকমই হয়। সমালোচকদের মতে, অনেক দেশের সাথে চীনের সম্পর্কের সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলোর সঙ্গে উনিশ এবং বিশ শতকের আফ্রিকা ও মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে ইউরোপীয় উপনিবেশিক শক্তির সম্পর্কের ঘনিষ্ঠ মিল রয়েছে। দেশগুলো চীন উৎপাদিত পণ্যের জন্য তাদের নিজেদের উৎপাদিত প্রাথমিক পণ্য বিনিময় করে; চীন স্থানীয় অর্থনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে; দেশগুলো চীনের ভারী ঋণে নিমজ্জিত হয়ে আছে; চীন স্থানীয় রাজনীতি, সংস্কৃতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর অধিকতর নিয়ন্ত্রণ রাখে; এবং বিদেশে চীনারা তাদের নিজস্ব ‘অভিবাসী ছিটমহল’গুলোতে বাস করে। পাইপলাইন এবং মহাসড়কের মতো বেইজিংয়ের আন্তঃরাষ্ট্রীয় অবকাঠামোগুলো আদতে আরও বেশি সম্পদ চীনে প্রেরণের কৌশল হিসেবে দেখা হয়। এই প্রকল্পসমূহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর রাষ্ট্রীয় কোষাগারকে রিক্ত করে দিচ্ছে বলে সমালোচনা রয়েছে। তাছাড়া, চীনা প্রকল্প এবং বিনিয়োগগুলোতে খুব অল্প সংখ্যকই স্থানীয় সরবরাহকারী এবং অংশীদাররা যুক্ত হতে পারে এবং সেগুলো স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে খুব অল্পই অবদান রাখে। এর প্রধাণ কারণ প্রকল্পগুলোতে চীনা শ্রমিকই বেশি নিযুক্ত হয়। বলা হয়, চীন ঋণগ্রাহক দেশগুলোর উপকার করার চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে কারণ চীনের সস্তা পণ্য স্থানীয় উৎপাদন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়।