রেজিঃ নং ডিএ ৬০০৯ | বর্ষ ১৪ | ৪ পৃষ্ঠা ৩ টাকা || মঙ্গলবার | ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
চুয়াডাঙ্গায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু
য়াডাঙ্গা প্রতিনিধি, দৈনিক শিরোমণিঃ চুয়াডাঙ্গা জেলায় সড়ক দুর্ঘটনা এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। কোনভাবেই সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছেনা। নিরাপদ সড়ক চাই এখন সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দাবি। কিন্তু কে উপহার দেবে নিরাপদ সড়ক? যেখানে বেশীরভাগ চালকই অসচেতন। সেইসাথে রয়েছে পাকা সড়কে মাটির সংমিশ্রণ, যা দুর্ঘটনার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। এ যেন এক ওপেন সিকরেট বিষয়, যা সকলে জানলেও কেউ নিচ্ছেনা সঠিক ব্যবস্থা।ঈদের দিন শুক্রবার (১৪ই মে) সকালে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা হলোনা আপন দুই চাচাতো ভাইয়ের। একজন চলে গেলেন সরাসরি পরপারে অপরজন হাসপাতালের বিছানায়। ঈদ আনন্দ একেবারে ধুলিসাৎ হয়ে গেলো ওই দুই পরিবারের লোকজনের এবং আশপাশের এলাকাবাসীর। কিন্তু কেন ঘটলো এই দুর্ঘটনা? আর দোষই বা কার? সিসিটিভি'র ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দ্রুতগতির মোটরসাইকেল রাস্তা পরিবর্তন করার সময় সামনে একটি অটোভ্যান (পাখিভ্যান) চলে আসায় মোটরসাইকেলের চালক দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার এনামুলের ছেলে হৃদয় (১৮) মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে পড়ে যায়। অটোভ্যানের সাথে মোটরসাইকেলটির সরাসরি সংঘর্ষ না হলেও এ সময় ভ্যানচালক ও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের উপর পড়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই হৃদয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয় এবং তার চাচাতো ভাই রিফাত (১২) গুরুতর আহত হয়। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত গতির সাথে মোটরসাইকেলের চালক একটু অন্যমনস্ক ও ছিলো। যে কারণে আচমকা সামনের অটোভ্যানটিকে দেখে সে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। তাছাড়া অটোভ্যানের চালক ও নিজের আসনে না বসে যাত্রীর আসনে বসে ভ্যান চালাচ্ছিলো। অধিকাংশ অটোভ্যানচালক এই কাজটিই করে থাকে যেটিও অনেক সময় দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া দুর্ঘটনাস্থলে সড়কে মাটির প্রলেপের কারণে গাড়ির চাকা স্লিপ কেটেছে বলে অনেকেই ধারণা করছেন। এদিকে ঈদের দিন বিকালে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় গানের তালে তালে নাচার সময় চলন্ত আলমসাধু থেকে ছিটকে পড়ে মাসুদ (২৭) নামের অপর এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ঈদ আনন্দ উদযাপনের জন্য তারা বেশ কয়েকজন অবৈধযান আলমসাধুতে সাউণ্ড সিস্টেম সংযোগ করে মেহেরপুরের মুজিবনগর গিয়েছিলো। ফিরে আসার সময় আলমডাঙ্গার আইলহাস এলাকার কানাপুকুর স্থানে সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মাসুদ উপজেলার আইলহাস ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের মোল্লাপাড়ার আইয়ুব মালিতার ছেলে। ঈদের জামাতের পর থেকেই চুয়াডাঙ্গার সড়কগুলো চলে যায় উঠতি বয়সী যুবক ও কিশোরদের দখলে। মাত্রাতিরিক্ত গতিতে মোটরসাইকেল আর অবৈধ যানবাহন চালানোর মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে তারা ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে থাকে। যার কারণে জেলার অধিকাংশ জায়গায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। যার মধ্যে দু'জনের মৃত্যুর খবর সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। তবে এলাকার সচেতনমহল মনে করছেন ঈদের দিন যুবকদের হাতে মোটরসাইকেল না দেওয়ায় ভালো। আশেপাশের এলাকায় বন্ধু-বান্ধবদের সাথে গল্প গুজব আর হাঁটাহাঁটি করেও ঈদ আনন্দ উদযাপন করা যায়।এছাড়া ঈদের দিন হলেও দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য নিজেদের ঈদ আনন্দকে বিসর্জন দিয়ে সড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশি টহল ছিলো চোখে পড়ার মতো। তবে চুয়াডাঙ্গা জেলায় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সকলেরই উচিৎ আরও সচেতন হওয়া। মাত্রাতিরিক্ত গতি পরিহার, সঠিক ট্রাফিক আইন অনুসরণ এবং সচেতেনতায় পারে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে। শাস্তির ভয় দেখিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব নই।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]
Copyright © 2024 দৈনিক শিরোমনি | shiromoni.com. All rights reserved.