দৈনিক শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট : রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথের আগামী ১০ অক্টোবর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন ট্রেনে চেপে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেডিয়াম মাঠে জনসভায় যোগ দেবেন সরকারপ্রধান। এর সাতদিন পর এই পথে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
প্রাথমিকভাবে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে এই সেতু পাড়ি দিয়ে ওপার যাবে ছয়টি যাত্রীবাহী ট্রেন। তবে এই ৬টি ট্রেনের একটিও নতুন নয়। রুট পরিবর্তন করে চলবে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলো।
ট্রেনের রুট পরিবর্তন করতে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসানের কাছে একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছেন। সেই প্রস্তাবনায় দেখা গেছে, ঢাকা-খুলনা-ঢাকা রুটের সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও চিত্রা এক্সপ্রেস, ঢাকা-বেনাপোল-ঢাকা রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনকে যমুনা সেতুর পরিবর্তে পদ্মা সেতু দিয়ে চালানো হবে। এছাড়া ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রুটের আন্তর্জাতিক মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনও এই রুটে চালানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া ভাঙ্গা-রাজশাহী-ভাঙ্গা রুটের আন্তঃনগর মধুমতি এক্সপ্রেস এবং খুলনা-গোয়ালন্দ ঘাট-খুলনা রুটের মেইল নকশীকাঁথা এক্সপ্রেস ট্রেন নতুন রুট দিয়ে ঢাকা পর্যন্ত আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যে এই প্রস্তাবনা পাস হতে পারে বলে রেলওয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে। প্রস্তাবটি পাস হলে আপাতত ছয়টি ট্রেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাবে।