এস এম শাহাদৎ হোসাইন গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: সংসারের টানাপোড়া থেকে আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য রতন মিয়া ছাগল পালন শুরু করেন। সেই ছাগলেই ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরসভার হরিণমাড়ী গ্রামের রতন মিয়ার। কোন প্রশিক্ষণ ছাড়া স্থানীয় একটি ছাগলের খামারিকে অনুসরণ করে নিজ বাড়িতে রতন মিয়া ৩ বছর আগে ছাগল পালন শুরু করেন। ১৫টি ছাগল দিয়ে খামার শুরু করলেও প্রজনন থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ছাগলের সংখ্যা। প্রায় ৪০টি ছাগল বিক্রি করেছেন তিনি। বর্তমানে খামারে ৬০টি ছাগল রয়েছে। ম্যাচিং পদ্ধতিতে খামারে ছাগল পালন করছেন তিনি। জাতের মধ্যে রয়েছে ব্লাক বেঙ্গল, তোজাপাড়ি, হরিয়ান ছাগল প্রভৃতি। ছাগলের ভাল মানের খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য বাড়ির পাশের পতিত জমিতে চাষ করেছেন বিদেশি জাতের ঘাস। সেই ঘাস দিয়েই ছাগলের খাবারের বেশিরভাগ চাহিদা মেটাচ্ছেন। ছাগল পালন করে লাভবান হচ্ছে তিনি। রতন মিয়া বলেন, ছাগলের বছরে দুইবার প্রজনন ক্ষমতা রয়েছে। প্রতিবার একাধিক বাচ্চা দেয়। বছরে একবার পিপিআর, গডপক্স ভ্যাকসিন দিলেই দুই চারটা ট্যাবলেট ছাড়া তেমন কোন ঔষধ ও চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। ছাগলের পুষ্টিকর খাবার হিসাবে কাঁচা ঘাস, গম, ভুট্টা ও ছোলা বুটের গুড়ো,সয়াবিন ও খড় খাওয়ানো হয়। পলাশবাড়ী উপজেলা প্রাণিস¤পদ কর্মকর্তা ডা. আলতাফ হোসেন বলেন, রতর মিয়ার ছাগলের খামার পরিদর্শন করা হয়েছে। তাকে লাভবান করতে সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।