বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো সূত্র বলছে, গত পাঁচ বছরে যে হারে জনসংখ্যা বেড়েছে। তার চেয়ে কম হারে বেড়েছে খাদ্যশস্য উৎপাদন। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৫ কোটি ৯৭ লাখ। যা ২০২২ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৮১ লাখের কিছু বেশি। অর্থাৎ পাঁচ বছরে দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ।
অন্যদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সূত্র জানিয়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে চাল ও গমের মোট উৎপাদন ছিল ৩ কোটি ৭৩ লাখ টন। এর পরের অর্থবছরে উৎপাদন কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ কোটি ৭৪ লাখ ৮ হাজার টনে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ কোটি ৭৬ লাখ ৩৪ হাজার টন ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩ কোটি ৮৬ লাখ ৯৪ হাজার টন চাল ও গম উৎপাদন হয়। সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে চাল ও গমের উৎপাদন কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৩০ হাজার টন। খাদ্যশস্য উৎপাদন বেড়েছে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হারে। এ হিসেবে যে হারে জনসংখ্যা বেড়েছে সে হারে খাদ্য উৎপাদন বাড়েনি। সম্প্রতি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক আগামী তিন বছরের মধ্যে চালের উৎপাদন ৩২ লাখ টন বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। খাদ্যশস্য আমদানি কম হলেও দেশে খাদ্য সংকটের কোনো আশঙ্কা আছে কি না? এ প্রশ্নে গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, দেশে খাদ্য ঘাটতির কোনো আশঙ্কা নেই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চাল-গমের আমদানি কম হলেও আমাদের বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে।