জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি, উচ্চাভিলাষী উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। দুই নেতা মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে চলমান একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিস্তৃত সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উভয় নেতা বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন, যাতে দেশের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে ৪০ শতাংশ শক্তির লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য নবায়নযোগ্য উৎস থেকে অতিরিক্ত ৪ হাজার মেগাওয়াট শক্তি উৎপাদন করা যায়।
ড. মোমেন সবুজ শক্তিতে রূপান্তরের জন্য সাশ্রয়ী প্রযুক্তি দিয়ে বাংলাদেশ ও অন্যান্য জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য জি-৭-ভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
জন কেরি বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরীক্ষা করা পারমাণবিক মডিউলার প্ল্যান্টের সম্ভাবনা সম্পর্কে কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে চাকরির সুযোগ সৃষ্টির জন্য এবং সৌর শক্তিচালিত সরঞ্জাম পরিচালনায় দক্ষতার বিকাশে মার্কিন সহায়তা কামনা করেন।
জন কেরি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বনায়ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ক্ষমতাসহ বেড়িবাঁধ উচ্চতা ও প্রশস্তকরণের জন্য পরিকল্পিত প্রকল্পে আগ্রহ দেখান। তিনি এই উদ্দেশে প্রাথমিক সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনায় মার্কিন সহায়তার আশ্বাস দেন।
ড. মোমেন জরুরি বিষয়ে জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপের জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি গ্রহণের উপর জন কেরির গুরুত্ব দেওয়ার প্রশংসা করেন। কেরি অন্যান্য জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের দূত অন্যান্য সেক্টরের মধ্যে কঠিন বর্জ্য থেকে নির্গমন কমাতে সহায়তার সুবিধা লাভের উপায় হিসেবে গ্লোবাল মিথেন অঙ্গীকারে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।