দৈনিক শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট : জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নতুন দল নিবন্ধনে এক বছরের বেশি সময় আগে কাজ শুরু করলেও কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী তা চূড়ান্ত করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।
কর্মপরিকল্পনায় ভোটের অন্তত ছয় মাস আগে নতুন দল নিবন্ধনের কাজটি শেষ করার লক্ষ্য ঠিক করেছিল সাংবিধানিক সংস্থাটি, তবে তা সম্ভব হয়নি।
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত না হলে বাংলাদেশে দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এবার শতাধিক দল নিবন্ধন পেতে আবেদন করে।
প্রাথমিক বাছাই ও দলিলপত্র পর্যালোচনার পর ৮১টি দলের আবেদন বাদ পড়ে। মাঠ পর্যায়ে তদন্তের জন্য রয়েছে ১২টি দল। সেই কাজ সেরে জুনের মধ্যে ইসির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল
বর্তমানে বাংলাদেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪২ টি। ২০২২ সালের মে মাসে নতুন দলের নিবন্ধন আবেদন চায় ইসি। তিন মাসের সময় দিলেও তাতে সাড়া না পেয়ে অক্টোবর পযন্ত সময় বাড়ানো হয়।
নভেম্বরে প্রাথমিক পর্যালোচনা শুরু হয় এবং এপ্রিল মাসে মাঠ পর্যায়ে তদন্তে নামে কমিশন। দুই মাস ধরে তদন্ত করেও কাজ শেষ করতে পারেননি কর্মকর্তারা।
বর্তমানে নিবন্ধিত দলগুলো তাদের শর্ত প্রতিপালন করছে কিনা, এই সময়ের মধ্যে তাও যাচাই করার কথা ছিল ইসির। কমিশন সেখানেও ব্যর্থ হয়েছে।
অবশ্য এটাকে ব্যর্ধতা বা পিছিয়ে পড়া বলতে রাজি নন ইসির বাছাই কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। তিনি বলেন, “আমরা প্রায় সব কিছু গুছিয়ে এনেছি। ১২টি দলের কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা কমিটি ও অফিস, সমর্থন তালিকা, প্রয়োজনীয় দলিলের বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে তদন্ত শেষ হয়েছে।
“এদের মধ্যে চার-পাঁচটি দলের বিষয়ে ফের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত ও সঠিক তথ্য যাচাইয়ের কাজ চলছে।”
এক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেলে তা কমিশনের কাছে উপস্থাপন সম্ভব হবে বলে জানান অশোক কুমার দেবনাথ