শাহ আলম,গোয়াইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ
পর্যটনের ভরা মৌসুমেও করোনার প্রভাবে পর্যটক শূন্য হয়ে গেছে সিলেটের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র জাফলং। প্রতি বছরে জাফলংয়ে লাখো পর্যটকের ভরপুর থাকলেও এবার ছিল ভিন্ন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি ঠেকাতে সিলেটসহ দেশের সব পর্যটন স্পট বন্ধ রাখার ঘোষণা থাকলেও ঈদের ছুটিতে গোয়াইনঘাটের জাফলংসহ পর্যটন স্পটগুলোতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। এমতাবস্থায় জাফলংয়ের পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের প্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।গত ৩১শে মার্চ থেকে সিলেটসহ সারা দেশের পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘুরতে আসা পর্যটকদের প্রশাসনের নির্দেশে রাস্তা থেকে ফিরিয়ে দিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। গুচ্ছগ্রাম এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক চেকপোস্ট বসিয়ে উপজেলার গুচ্ছগ্রাম এলাকায় পর্যটকবাহী যানবাহন বাস, মাইক্রবাস, কার, পিকআপ ও মোটরসাইকেল সমূহের গতিরোধ করে তাদের বুঝাচ্ছেন। একই সাথে পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে নিরুৎসাহিত এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে তাদেরকে পূণরায় গন্তব্যে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।এ ব্যাপারে জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ মো. রতন শেখ জানান, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে সরকার জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে। এতে জাফলংয়ের পর্যটন স্পট বন্ধ রয়েছে। সংক্রমণের উর্ধ্বগতি ঠেকাতে পর্যটন স্পট বন্ধের ঘোষণা কার্যকরে জাফলংয়ে পর্যটকদের প্রবেশরোধে কাজ করছে জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশ।এমতাবস্থায় জাফলংয়ে যারা বেড়াতে আসছেন তাদের ট্যুরিস্ট পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে সবাইকে বুঝিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছে। একই সাথে স্বাস্থ্যবিধি এবং মুখে মাস্ক পরার বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে। সুতরাং পর্যটকরাও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তারা ভ্রমণে নিরুৎসাহীত হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। জাফলংয়ের প্রতিটি স্পট এখন পর্যটক শূণ্য রয়েছে।
৫ views