নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার মিলানকে হারিয়ে সেরি আ জমিয়ে দিয়েছে এসি মিলান। প্রথমে পিছিয়ে পড়ার দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। শেষ মুহূর্তে অলিভিয়ে জিরুদের জোড়া গোলে অসাধারণ জয়ে সেরি আর শীর্ষস্থানের লড়াইটা জমিয়ে তুলল স্তেফানো পিওলির দল। এই জয়ে ইন্টারের সঙ্গে দূরত্ব মাত্র ১ পয়েন্টের।
শনিবার রাতে ইন্টার মিলানকে ২-১ গোলে হারিয়েছে এসি মিলান। ইভান পেরিসিচের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর শেষ দিকে তিন মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে ব্যবধান গড়ে দেন জিরুদ।
প্রথমার্ধে মিলান বল দখলে এগিয়ে থাকলেও প্রতিপক্ষকে পরীক্ষায় ফেলার মতো তেমন কিছ্ইু করতে পারেনি। বিপরীতে ৩৮তম মিনিটেই প্রত্যাশিত গোল পেয়ে যায় ইন্টার। হাকান কালহানোগলুর দারুণ কর্নারে বল পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় কোনাকুনি ভলিতে ঠিকানা খুঁজে নেন এই ক্রোয়াট মিডফিল্ডার। ইন্টারের জার্সিতে এটা তার ৫০তম গোল।
দ্বিতীয়ার্ধেও বল দখলে রেখে আক্রমণে ওঠার কৌশলে খেলতে থাকে মিলান। কিন্তু মিলছিল না সুযোগ। ৭০তম মিনিটে একসঙ্গে জোড়া পরিবর্তন করেন ইন্টার কোচ। স্ট্রাইকার মার্তিনেসকে তুলে আলেক্সিস সানচেস ও গোলদাতা পেরিসিচের জায়গায় ডিফেন্ডার ফেদেরিকো দিমারকোকে নামায় দলটি।
এর কিছুক্ষণ পরই অবিশ্বাস্য ঘুরে দাঁড়ায় মিলান। ৭৫তম মিনিটে ব্রাহিম দিয়াসের শটে বল প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে চলে যায় বক্সের বাঁ দিকে। সেখানে অরক্ষিত জিরুদ দারুণ স্লাইড শটে ফাঁকা জালে বল পাঠান।
এর দুই মিনিট পর অসাধারণ নৈপুণ্যে দ্বিতীয় গোলটি করেন জিরুদ। ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বাঁ পায়ের শটে জয়সূচক গোলটি করেন চেলসি থেকে মিলানে যোগ দেওয়া এই স্ট্রাইকার।
বাকি সময়ে গোল পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে ইন্টার। এরই মধ্যে মিলানের ডিফেন্ডার থিও এরনঁদেজ লাল কার্ড দেখে মাঠ ত্যাগ করেন। কিন্তু সেই সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি ইন্টার। শেষ পর্যন্ত আনন্দে ভাসে এসি মিলান।
এই জয়ে ইন্টার থেকে মাত্র ১ পয়েন্টের দূরত্বে মিলান। ২৩ ম্যাচে ১৬ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ইন্টার মিলান। আর মিলানের পয়েন্ট ৫২, অবশ্য তারা এক ম্যাচ বেশি খেলেছে। ২৩ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে নাপোলি। ২২ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট চতুর্থ স্থানে আতালান্তা।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]