জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক নন। তিনি স্কুলের দারোয়ানের ছুটির ঘণ্টা বাজানোর মতো বন্ধবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) মুজিব নগর দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুজিব নগর সরকার বাংলাদেশের প্রথম সরকার, যার রাষ্ট্রপতি ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জিয়া ৪০০ টাকা বেতনে সেই সরকারের অধীনে কাজ করেছেন। তারা (বিএনপি) জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বানাতে চায়। স্কুল কখন ছুটি হবে সেটা প্রধান শিক্ষক সিদ্ধান্ত নেন। আর দারোয়ান ঘণ্টা বাজিয়ে তা জানান। জিয়া ছিলেন দারোয়ান, তিনি ঘণ্টা বাজানোর মতো সেই ঘোষণা পাঠ করেছেন। এর আগে আওয়ামী লীগ নেতা এমএ হান্নান অনেকবার সেটি পাঠ করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ঘোষণা পাঠ করার জন্য মেজর রফিককে না পেয়ে জিয়াকে ঘোষণা করতে বলা হয়। তিনি প্রথমে তাতে রাজি হননি। তিনি বেতার কেন্দ্রে আসতে চাননি, পরে ২৭ মার্চ সেখানে আসেন। প্রথমে তিনি নিজে ঘোষণা ড্রাফট করে ভুল করেছিলেন, পরে সংশোধন করে পুনরায় বক্তব্য দেন। জিয়া ছাড়াও মাইকে অসংখ্য মানুষ স্বাধীনতার ঘোষণা শুনিয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হক জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতার ঘোষণা মাইকিং করেন। আর জিয়া নিরাপত্তা নিয়ে বেতারে বক্তব্য দিয়েছেন। এজন্য জিয়াকে যদি ঘোষক বলতে হয় তাহলে তো তাদেরও বলতে হবে।
জিয়া ঘোষক নয়, দারোয়ানের ভূমিকায় ছিলেন: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির রাজনীতি মিথ্যাচারের উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, তারা ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়। তাদের রাজনীতি মিথ্যাচারের। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে মির্জা ফখরুল ব্রাদারের ড্রেস পরে খালেদা জিয়াকে সার্টিফিকেট দিচ্ছেন। ২০১৮ সালে কে বা কারা নাকি সেই সার্টিফিকেট দিয়েছিল। সেটা তিন বছর পর ২০২২ সালে তারা খালেদা জিয়াকে হস্তান্তর করছে। এটাও এক বিএনপি নেতার জোগার করা। এটা আবার তারা ঘটা করে বেগম জিয়াকে দিয়েছেন। গতকাল জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যা আলোচনা হয়নি, যা তিনি বলেননি- সেটা বিএনপি তার নামে চালিয়ে দিয়েছে।
নির্বাচনে বিএনপি আসবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনের ট্রেন মিস করেছিল, ২০১৮ তে পাদানিতে চড়েছিল। সামনের নির্বাচনে তারা সেই ট্রেনে চড়বে বলে আশা করি। বিএনপি নির্বাচন আর জনগণকে ভয় পায়। কারণ তারা জনবিচ্ছিন্ন। করোনাকালে তারা জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি।
সভাপতির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, মুজিবনগর সরকার হচ্ছে স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম কার্যকরী সরকার। বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির জীবনে এক অবিস্মরণীয় গৌরবগাথা ইতিহাস। মহান মুক্তিযুদ্ধের এবং বাঙালি জাতির চেতনাবোধকে জাগ্রত করে হৃদয়ে ধারণ করে অভীষ্ট লক্ষ্য পূরণে চিরকাল নিরন্তর প্রেরণা দিয়ে যাবে ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকার।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]