পীরগাছা উপজেলা প্রতিনিধি: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরের পীরগাছার শহীদ মঞ্জুরুল ইসলামের স্ত্রী রহিমা বেগমকে মারধরের অভিযোগ ইদ উঠেছে দেবরের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাতে এ অভিযোগ করেন তিনি।
রহিমা বেগম জানান, ২০২৪ সালের ২০ জুলাই ঢাকার গাজীপুর জয়বাংলা রোডে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন তার স্বামী রিকশাচালক মঞ্জুরুল ইসলাম। মৃত্যুর পর তার স্বামীকে রংপুরের পীরগাছার ছাওলা ইউনিয়নের জুয়ান গ্রামে দাফন করা হয়। স্বামীর মৃত্যুর পর রহিমা বেগম তার দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে থাকতে শুরু করেন।
তবে কিছুদিন যেতে না যেতেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করায় তিনি স্বামীর বাড়ি ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান। তখন থেকে তিনি উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের সাহেববাজার সংলগ্ন বেড়িবাঁধে সন্তানদের নিয়ে থাকছেন।মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকেলে তার মেয়ে মোহনা আক্তার (৫) বাবার কবর দেখতে যাওয়ার আবদার করেন। মেয়ের আবদার রাখতে রহিমা তার সন্তানদের নিয়ে শ্বশুরবাড়ি জুয়ান গ্রামে যান। সেখানে যাওয়ার পর তার শ্বশুর ও শাশুড়ি তাকে দেখে খারাপ আচরণ করা শুরু করেন। তাদের সঙ্গে রহিমার কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তার ছোট দেবর শহিদুল ইসলাম (২৬) তাকে বলেন, ‘তুই কেন এসেছিস এখানে। তোর এখানে আসার কোনো অধিকার নেই।’
Notifications