জালালুর রহমান,মৌলভীবাজারঃ মৌলভীবাজারের জুড়ীতে চিনাউরা গ্রুপ ফিসারি নামক একটি জলমহাল। এই বিল খাস কালেকশন এক বছরের।সম্প্রতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন অনুযায়ী,কোন জলমহাল পাম্প মেশিন দিয়ে শুকিয়ে বিলের মাছধরা সম্পূর্ণ বেআইনি।উল্লেখ্য ইজারাদার চান মিয়া (৪০) পিতা ময়না মিয়া গ্রাম খাকটেকা (তালতলা) তার সহযোগী মলিন্দ্র বিশ্বাস (৫০) পিতা প্রশান্ত বিশ্বাস দক্ষিণ ভাগ ইউনিয়নের গ্রাম রাঈাগাউটি,মুক্তার আলী পিতা আরজু সাং সুজানগর, বাইগাই পিতা ময়না মিয়া সাং তালতলা,অজ্ঞাত আরও পাঁচজন সহ একদল।চান মিয়ার নেতৃত্বে অবৈধভাবে পাম্প মেশিন দিয়ে পানি শুকিয়ে বিলের মাছ ধরছেন এবং চলমান এ মাছ ধরতেছে।এতে মাছের বংশ বিস্তার বিলুপ্তির পথে,সরজমিনে ঘুরে দেখি,কথা হয় মলিন্দ্র বিশ্বাস এর সাথে,তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন আমরা পানি শুকিয়ে দুটি বিলের মধ্যে একটিতে মাছ ধরছি, মৎস্য অফিসার এসে আমাদের নিষেধ করায় আমরা মেশিন দিয়ে পানি শুকানো বন্ধ করে দিয়েছি।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চান মিয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা হয়,চানমিয়া বলেন মেশিন দিয়ে পানি শুকিয়ে বিলে মাছ ধরছি তা সত্য,তবে তুরল বিলে এবং চাতলা বিলের ইজারাদাররা পাম্প মেশিন দিয়ে পানি শুকিয়ে মাছ ধরতেছে,তাদের কে প্রশাসন নিষেধ করেননা কোন শুধু আমাকে নিষেধ করা হয়।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য অফিসার আবু ইউসুফ জানান গত মঙ্গলবার (৪/১/২০২২ ইং) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চিনাউরা গ্রুপ ফিসারিতে সরজমিন অভিযান পরিচালনা করি।অভিযান পরিচালনা কালে আমার অফিসের আর দুইজন সহকারী ছিলেন। অভিযান পরিচালনা কালে দেখা যায় যে,বিলে ইজারাদার পাম্প মেশিন দিয়ে পানি শুকিয়ে বিলের মাছ ধরছেন।আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।বিলের যে স্হানে মেশিন লাগিয়েছে,সেটি দুর্গম এলাকা,ফলে যেখানে গাড়ী রেখে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে যেতে হয়েছে এবং হেভিওয়েটের মেশিন হওয়ায় তা জব্দ করা যায়নি। উল্লেখ্য যে,তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।