বাংলাদেশে প্রতিদিন ১৩ থেকে ১৪ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আমদানি করা ডিজেলের বড় অংশ পরিবহন খাত এবং কৃষিতে সেচের কাজে ব্যবহার হয়।
জ্বালানি তেলের জন্য ২০২১ সালে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছিল সরকার। তবে এই বছর তেলের দাম বাড়িয়ে ভর্তুকি অনেকটাই সমন্বয় করা হয়েছে।
বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ দেবার প্রশ্নে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ যেসব শর্ত দিয়েছে, তার একটি হচ্ছে জ্বালানি তেলের ওপর থেকে ভর্তুকি কমিয়ে আনা। সেখানে জ্বালানির মূল্য-নির্ধারণ পদ্ধতি বাজারের ওপরেও ছেড়ে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আইএমএফ বলছে, মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতির সংস্কার করা হলে জ্বালানি তেলে ভর্তুকি দেয়ার প্রবণতা কমে আসবে।
এখন সেই দিকেই হাঁটছে সরকার। যদিও বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম এই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় পৌঁছেছে। এই সপ্তাহে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল বিক্রি হয়েছে ৮০ ডলারে।
গত ১৩ই ডিসেম্বর জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠকে জ্বালানি তেলে ভর্তুকি না দেয়ার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়। সেই সঙ্গে জ্বালানি তেল আমদানি ও বিক্রি বেসরকারি খাতের জন্য খুলে দেয়ার বিষয়ে সরকার বিবেচনা করছে বলেও জানানো হয়।
ইতোমধ্যে সরকার বিধিমালা সংশোধনের মাধ্যমে আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এখন থেকে বিইআরসি বা গণশুনানি ছাড়াই প্রয়োজনে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করতে পারবে সরকার