1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৩ অপরাহ্ন

ঝিনাইদহের মঙ্গলপুরে আবার বসতি হচ্ছে

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১

সম্রাট শাহ্ খুলনা ব্যুরো চীফ,দৈনিক শিরোমণিঃ
সরকারি নথিতে মঙ্গলপুর গ্রামটির নাম রয়েছে। আছে ফসলি জমি, পুকুর ও গাছগাছালি। কিন্তু সেখানে নেই মানুষের কোলাহল। জনশ্রুতি রয়েছে, ৬০-৭০ বছর আগে মঙ্গলপুর গ্রামে মানুষের মধ্যে ‘অমঙ্গল’ আতঙ্ক ভর কাজ করে। ভয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যান বাসিন্দারা। সেই থেকে গ্রামটি মানুষশূন্য।সেই মঙ্গলপুর গ্রামে নতুন করে মানুষের বসতি শুরু হতে যাচ্ছে। সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে সাতটি ভূমিহীন পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক।ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নে মঙ্গলপুর গ্রামের অবস্থান। ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলপুর গ্রামটি ৬৬ নম্বর মঙ্গলপুর মৌজায় অবস্থিত। এই মৌজায় একটিই গ্রাম রয়েছে। গ্রামে ২০৬টি খতিয়ানভুক্ত জমি আছে। কিন্তু কোনো পরিবার নেই। গ্রামটি নিয়ে ২০১৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোয় “অমঙ্গল” আতঙ্ক, মানুষশূন্য মঙ্গলপুর’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেরুন নেছা বলেন, মঙ্গলপুর গ্রামে সাতটি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। কাজ প্রায় শেষের পর্যায়ে। এটা মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার। দীর্ঘদিন পর মঙ্গলপুর গ্রামে আবার মানুষের বসতি গড়ে উঠবে।কোটচাঁদপুরের প্রবীণ ব্যক্তি মোশারফ হোসেন বলেন, ৬০-৭০ বছর আগে মঙ্গলপুর গ্রামে মহামারি আকারে কলেরা ছড়িয়ে পড়ে। এতে অনেকমানুষ মারা যান। আতঙ্কে অন্যরা আশপাশের গ্রামে আশ্রয় নেন। কিছু পরিবার ভয়ে গ্রাম ছেড়ে ভারতে চলে যায়।এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও যশোরের চৌগাছা উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম মঙ্গলপুর। কিন্তু এই গ্রামে কোনো মানুষ বাস করেন না। তাঁরা লোকমুখে শুনেছেন, অজানা আতঙ্কে মানুষ গ্রাম ছেড়ে চলে যান। গ্রামটির কথা বর্তমান প্রজন্ম প্রায় ভুলেই গিয়েছিল। পরে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর সবাই জানতে পারে।চেয়ারম্যান আরও বলেন, সাতটি পরিবার ওই গ্রামে বসবাস শুরু করবে। আস্তে আস্তে গ্রামে আরও বসতি গড়ে উঠবে, এই প্রত্যাশা তাঁদের।প্রায় ৭০ বছর পর আবার মঙ্গলপুর গ্রামে মানুষের বসতি গড়ে উঠতে যাচ্ছে। ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণ প্রকল্পে গত মার্চে সেখানে ঘর নির্মাণ শুরু হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, ইতিমধ্যে ওই গ্রামে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়েছে। মাস খানেকের মধ্যে ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের কাজ শেষ হবে। পাশের বাগডাঙ্গা, পাশপাতিলা ও বলাবাড়িয়া গ্রামের সাতটি ভূমিহীন পরিবারকে এই ঘর দেওয়া হবে। তারা সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করবে।

Facebook Comments
২৮ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি