মোঃ ইনছান আলী,জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ,দৈনিক শিরোমনিঃ
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় কলেজছাত্র মোঃ রোকনুজ্জামান রোকন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সকালে স্কুল ও কলেজে ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
উপজেলার শেখপাড়া বাসষ্টান্ডে মানববন্ধন ও পরে এলাকাটির প্রধান সড়কে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন চলা সময় বক্তব্য দেন রোকনের বাবা মোঃ রশিদ মোল্ল্যা, চাচা শহিদ মোল্ল্যা শিক্ষার্থী রানা আহম্মেদ অভি সহ অনেকে।
নিহত রোকনুজ্জামান রোকন কুষ্টিয়া ইসলামীয়া কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভগের ছাত্র ছিলো এবং এবারের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী ছিল।
নিহত রোকন পরিবারের সঙ্গে উপজেলার শেখপাড়া এলাকায় স্থানীয়ভাবে বসবাস করতো । অনসার কমান্ডো রশিদ মোল্ল্যার সন্তান রোকনুজ্জামান লেখাপড়ার জন্য শহরে দীর্ঘসময় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
গত রবিবার সকালে শেখপাড়া নির্মাণাধীন একটি গোয়ালঘর নিয়ে চাচাতো ভাইদের আতর্কিত হামলার পর রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে এলাকাবাসী । প্রথমে স্থানীয় চিকিৎকের কাছে নিয়ে গেলে কোনো উন্নত চিকিৎসা পাওয়া যায়নি। পরে হাসপাতালে পরিবারের লোকজন নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয় বলে শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা ।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার সকাল দশটার দিকে বাসার পাশে গোয়ালঘর নির্মাণ করছিলো রোকন ।বেশকয়েকদিন ধরে চাচা ও তার ছেলেদের সাথে কথাকাঁটাকাঁটি হচ্ছিলো রোকনদের । সেদিন সকালে লোকজন ভাবেন, তারা হয়তো নিজেদের ভেতরে কথা বলছে । কিন্ত এক পর্যায়ে রোকনকে হত্যা করে পালিয়ে যায় চাচাতো ভাই ও চাচারা । সাথে সাথে লোকজন তাদের খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এরপর বাড়িতে গিয়ে দেখে হত্যাকারীরা সব পালিয়ে গিয়েছে। পুলিশ সাথে সাথে আসামীদের ধরতে চেষ্টা করেছে এবং কিন্তু তাতে তারা ব্যর্থ হন । পরে তারা হাসপাতালে গেলে রোকনকের অতিরিক্ত রক্তক্ষননের জন্য মৃত্যু হয় বলে জানতে পারে ।
নিহত রোকনের বাবা জানান, রোকন সেদিন সবেবরাতের রোজা ছিলো । বাহিরে কারো সঙ্গে তাঁর বা তাঁর ছেলের কোনো বিরোধ নেই। তার চাচতো ভাইদের এমন অতর্কিত হামলায় নির্মমভাবে তাঁর ছেলে মৃত্যুবর করেছে।
শৈলকূপা থানার ওসি জাহাঙ্গির আলম বলেন, বাড়ির পাশে জমি ভাগ নিয়ে কিছুদিন আগে থেকেই রোকন উদ্দিন মোল্লা ও তার চাচাতো ভাই শিলু মোল্লার মধ্যে কথার বিরোধ চলে আসছিল । সেদিন সকালের দিকে গোয়াল ঘর নির্মাণ করছিল রোকনুজ্জামান রোকন । এ সময় সিরাজুল ইসলাম শিলু মোল্লা ঘর নির্মাণে বাধা দেয়। এতে উভয়ের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে সিরাজুল ইসলাম শিলু মোল্লা ছুরিকাঘাত করে রোকনুজ্জামানকে। এ সময় তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ময়নাতদন্তর জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
৮ views