ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-“আমি শিক্ষা অফিসার বলছি। আপনার সন্তান উপবৃত্তির টাকা কম পেয়েছে। দ্রুত পিন নাম্বার দেন, এবার পুরো টাকা পাঠিয়ে দেব”। প্রতারকরা এমন কথা বলে প্রইমারিতে পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থীদের উপ-বৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত কয়েক দিনে ঝিনাইদহ জেলার শতাধীক শিক্ষাথীর নগদ একাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। গ্রামের সহজ সরল গৃহবধুরা (শিশু শিক্ষর্থীর মা) নগদ একাউন্টের গোপন পিন নাম্বার দিয়ে প্রতারণরার শিকার হয়েছেন।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পশ্চিম লক্ষিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী জোহা, একই স্কুলের ক্লাস ওয়ানের ছাত্র আরজু ও তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী চাঁদনীর নগদ একাউন্ট থেকে সোমবার সাড়ে চার’শ টাকা করে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। লক্ষিপুর গ্রামের গ্রাম্য চিকিৎসক ডাঃ মিজানুর রহমান খবরের সত্যতা নিশ্চত করে জানান, তার এলাকার একাধিক প্রাইমারির শিক্ষার্থীর নগদ একাউন্টের টাকা প্রতারকরা হাতিয়ে নিয়েছে। তিনি জানান, বেশির ভাগ হতদরিদ্র ও গরীব ছাত্র ছাত্রীরা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। গান্না ইউনিয়নের চন্ডিপুর প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম জানান, তার স্কুলের জাকারিয়াসহ একাধিক শিশু শিক্ষার্থীর নগদ একাউন্ট থেকে প্রতারকরা টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তিনি বলেন স্কুল খোলা থাকলে আমরা ক্লাসে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে পারতাম। কিন্তু সে সুযোগ না থাকায় শিশু শিক্ষার্থীরা অহরহ প্রতারিত হচ্ছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামে গ্রামে প্রতারকরা হানা দিয়ে গোপন পিন সংগ্রহ করে উপ-বৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, নগদ একাউন্ট খোলার সময় আমরা শিশু ও তাদের অভিভাবকদের সচেতন করে দিই। এছাড়া নগদের কর্মীরাও গোপন পিন নাম্বার কাউকে দিতে নিষেধ করেন। তাপরও এমন প্রতারিত হওয়ার খবর দুঃখজনক। তিনি বলেন অধিক সচেতনতার জন্য এ বিষয়ে আমি আজই উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের নির্দেশনা দেব।