ঝিনাইদহ প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে রেসিডো নামে একটি বেসরকারী ক্লিনিকে অপারেশনের পর নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।গত মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার রামনগর গ্রামের মজনু মিয়ার মেয়ে মহিমা খাতুন নামে এক প্রসূতিকে ভর্তি করা হয় হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। পরে সেখানে সেবা না পেয়ে হাসপাতাল মোড়ের আক্তারুজ্জামান কুসুমের মালিকানাধীন রেসিডো ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর তাকে সিজার করা হয়। একটি নবজাতকের জন্ম দেন মহিমা খাতুন। সিজারের পর নবজাতকের হেড ডেমারেজ হয়েছে বলে জানাই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ক্লিনিক মালিক শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।ঝিনাইদহ নেওয়ার পথে নবজাতক মারা যায় বলে স্বজনরা জানান।ডাঃ আলমগীর হোসেনের তত্বাবধানে প্রসূতিকে সিজার করা হয়। ডা. আলমগীরের সিজার করার বৈধতা আছে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে গত ১৯ জানুয়ারি বিকেলে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটখোলা পাঁচলিয়া গ্রামের শাহাবুল হোসেনের স্ত্রী আসমা খাতুনকে ভর্তি করা হয় হাসপাতাল মোড়ের অনুমোদনহীন নিউ রেসিডো ক্লিনিকে। সেখানে অপারেশন করেন হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জামিনুর রশিদ। সিজার অপারেশনের পর নবজাতকের মৃত্যু হয়। এঘটনায় নবজাতকের পিতা শাহাবুল হোসেন ডা. জামিনুর রশিদসহ ৫ জনের নামে মামলা করেন। হরিণাকুন্ডুতে মাঝে মাঝেই প্রসূতি বা নবজাতকের মৃত্যু হচ্ছে, কিন্তু কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। তদন্তের নামে প্রহসন করা হচ্ছে।জানা গেছে, হরিণাকুন্ডুতে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ১১টি। এর মধ্যে ক্লিনিক ৬টি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৫টি। লাইসেন্স না থাকলেও অবাধে এসব বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলো চলছে। এগুলোর বেশিরভাগই উপজেলার হাসপাতাল মোড়ে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একেবারেই নাকের ডগায় এসব হাসপাতাল-ক্লিনিক চললেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। কারণ হাসপাতালের চিকিৎসকদের ইন্ধনে এ সব অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলো চলছে। ফলে হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোর দালালেরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যায়। প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম বলেন আমি একটু ব্যাস্ত আছি। তবে খবর পেয়েছি। দ্রতই আমি খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
৩ views