বিগত ২০১৯ সালে টক অফ দ্য কান্ট্রি ছিলো টাঙ্গাইলের গোপালপুরে কড়িয়াটায় মেয়ের জামাই কর্তৃক শ্বাশুড়িকে বিয়ের ঘটনা, সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার কালিদাস পানাউল্লাহপাড়া গ্রামে শরীফুল ইসলাম নামে যুবক নিজের স্ত্রী-সন্তান থাকতেও স্কুল শিক্ষিকা চাচি রহিমা আক্তার রুমার সঙ্গে জড়ান পরকীয়ায়,দীর্ঘদিনের পরকীয়ার পর দুই চাচাতো ভাইসহ সাবেক চাচীকে ভাগিয়ে বিয়ে করলেন তিনি।
শরীফুল ইসলাম উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বিষয়টি স্থানীয় রাজনৈতিক মহল, এলাকাবাসী ও চায়ের দোকানে এখন গল্পস্বল্পের খোরাক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে উপজেলার কালিদাস পানাউল্লাহপাড়া গ্রামের রাইজ উদ্দিনের ছেলে ইমান আলীর সঙ্গে নলুয়া মোল্লাপাড়া গ্রামের আমির মোল্লার মেয়ে রহিমা আক্তার রুমার বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পরই ভাসুর হাজী আবদুল ছবুর মুন্সীর ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলামের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন রহিমা। এর ফলে দিন দিন রহিমা তার স্বামী ইমান আলীর সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করতে থাকেন। একপর্যায়ে বিষয়টি সারা গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে শরিফকে এ পথ থেকে ফেরাতে তার পরিবার ২০১৭ সালে বাসাইলের ময়থা গ্রামে বিয়ে করান। এতেও শরীফ আর রহিমা সম্পর্ক থেকে পিছপা হননি। অবশেষে ২০১৯ সালে চাচীকে দিয়ে চাচাকে ডিভোর্স করান শরীফুল। অবশেষে দুই পরিবারের সমঝোতায় গেল সপ্তাহে বিয়ের মাধ্যমে ভাতিজা শরীফুল ইসলাম ও সাবেক চাচী রহিমা আক্তার রুমির দেড় যুগের পরকীয়ার অবসান ঘটল।
সত্যতা প্রমাণে চাচী রহিমা ও তার ভাই আনোয়ার মোল্লার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা উভয়ই বিয়ে হওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শরিফুল ও রহিমার পরিবারের সমঝোতার মাধ্যমে এ বিয়েটি সম্পন্ন করা হয়েছে। শরিফের বর্তমান স্ত্রীও তা মেনে নিয়েছেন।’
বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সেলিম বলেন, ‘নিজের স্ত্রী-সন্তান থাকার পরও সমাজে নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তি হয়ে শরিফুল ইসলামের এরকম একটি কাজ করা ঠিক হয়নি।’
রহিমার পূর্বের স্বামী ইমান বলেন, ‘শরীফুল আমার ভাতিজা হয়ে আমার সুখের সংসার জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। আমার সন্তান দুটো সে ছিনিয়ে নিয়েছে। আমি ওই লম্পটের বিচার চাই।’
চাচিকে বিয়ে করার বিষয়টি স্বীকার করে শরীফুল ইসলাম বলেন, লকডাউন থাকায় বিয়ের সময় দাওয়াত দিতে পারিনি, আপনাদের অচিরেই দাওয়াতের ব্যবস্থা করা হবে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]