ফজলুর রহমান, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক শিরোমণিঃ ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর এন.এইচ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি বিষয়) কুলদীপ দেবনাথের বিরুদ্ধে এন আই এ্যাক্টের ১৩৮ ও ১৮৮১ ধারায় চেক ডিজঅনার এবং জালিয়াতি আইনে প্রমানিত হয়ে আসামী কুলদীপকে দোষী সাব্যস্ত করে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড সহ ৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার অর্থদণ্ডে দণ্ডের রায় দেন ‘কৃষ্ণ কান্ত রায়’ ঠাকুরগাঁও যুগ্ম দায়রা জজ-২, গত ২০২০ সালে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ আদালতে দায়েরকৃত এ মামলার রায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার ঘোষণা করা হয়েছে।মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামী কুলদীপ দেবনাথ বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সাবাজপুর গ্রামের আশুতোষ নাথ মাষ্টারের ছেলে। সে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সিন্দুর্না গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে রবিউল আওয়ালের পূর্ব পরিচিত গত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ইং তারিখে নগদ ২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা হাওলাদ প্রদান করেন। এর পর নিদৃষ্ট সময়ে হাওলাদি টাকা পরিশোধ না করে, পরবর্তীতে দীর্ঘ সময় কালক্ষেপণসহ বিভিন্ন টালবাহানা করেন। পরে স্থানিয় লোক-জনের চাপে পরে পাওনা টাকা পরিশোধের নিমিত্তে গত ১৪ জুন ২০২০ তারিখে আসামী কুলদীপ মাষ্টার বাদী রবিউলকে ২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা অংকের ডাচ বাংলা ব্যাংক ঠাকুরগাঁও শাখার একটি চেক প্রদান করেন।চেকটি নগদায়নের জন্য ব্যাংকে জমা করা হলে পর্যাপ্ত পরিমানে টাকা না থাকায় ব্যাংক ব্যবস্থাপক চেকটি ডিজঅনার প্রদান করেন। বিষয়টি লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে আসামিকে জানানো হয়। এরপরেও টাকা পরিশোধ না করায় রবিউল আউয়াল বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-১’ চেক ডিজঅনারের একটি মামলা দায়ের করেন।ঐ মামলা প্রমানিত হয়ে আসামী কুলদীপ দেবনাথকে দোষী সাব্যস্ত করে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড সহ ৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার অর্থদণ্ডে দণ্ডের রায় দেন ‘কৃষ্ণ কান্ত রায়’ ঠাকুরগাঁও যুগ্ম দায়রা জজ-২। এব্যপারে কুলদীপ দেবনাথের সাথে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ।