ঠাকুরগাঁওয়ের ভূল্লীতে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে মানববন্ধন
এম এ সালাম রুবেল ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
দেশে সাম্প্রতিক সময়ে বৃদ্ধি পাওয়া ধর্ষণ, গণধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ের ভূল্লীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ৬ অক্টোবর ) বিকাল ৫ টায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লী নামক স্থানে ভূল্লী ক্রীড়া, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংঘের উদ্যোগে এ মানববন্ধন পালন করা হয়।
ধর্ষণের বিরুদ্ধে “ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড” ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হওয়া মানববন্ধনে ব্যানার ফেস্টুন হাতে নিয়ে অংশ নেয় শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের মা বোনেরা ধর্ষণের শিকার হয়েছিল তখন আমরা পরাধীন ছিলাম। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্ষণ করে পাড় পেয়ে যাওয়া এটা বিচারহীনতার কথা মনে করিয়ে দেয়। স্বাধীন দেশে আমাদের এখন একটাই দাবি, সরকার ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।
কর্মসূচিতে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থী মোয়াবের বলেন, ‘বিবস্ত্র নারী, লজ্জিত দেশ এই কি আমার সোনার বাংলাদেশ? দেশের এক শ্রেণির মানুষের অভিমত যে, ধর্ষণের জন্য নাকি আমরা মেয়েরা দায়ী, আমাদের যৌন আবেদনময়ী পোশাকের জন্য নাকি আমরা ধর্ষিত হই, তাহলে সাত বছরের শিশু কী আবেদনময়ী পোশাক পড়ে ছিলো যার জন্য তাকে ধর্ষিত হতে হয়? আমাদের দেশে সাত বছরের শিশু নিরাপদ না, সত্তর বছরের মহিলাও নিরাপদও নয়।
যুবলীগ নেতা জুয়েল বলেন, ‘আমাদের যে পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠেছে এ থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। প্রতিটি নারী যেন মুক্তভাবে এবং সম্পূর্ণ নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারেন এর জন্য সরকাররের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। আর ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে। তাইলেই দেশ থেকে নারীর প্রতি নির্মম নির্যাতন বন্ধ হবে।
এ সময় অন্যান্য বক্তারা ধর্ষণ নিপীড়ন দমনের জন্য সরকারকে কঠোরভাবে পদক্ষেপ নিতে বলেন এবং ধর্ষণকারী সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের দাবি করেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ভূল্লী ক্রীড়া, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংঘের সভাপতি সেলিম ইসলাম, সাঃ সম্পাদক মেহেদী হাসান, মাহফুজ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।