দৈনিক শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট: ডলারের সংকটের কারণে আমদানিকৃত জ্বালানির মূল্য পরিশোধে লড়াই করছে বাংলাদেশ। যে কারণে দেশে জ্বালানির মজুতও আশঙ্কাজনক হারে কমছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ও সরকারের মধ্যকার অভ্যন্তরীণ একাধিক চিঠিতে এমন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স সোমবার চিঠির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) দুটি চিঠি পর্যালোচনা করেছে রয়টার্স। এর একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, ছয়টি বিদেশি কোম্পানি বিপিসির কাছে ৩০০ মিলিয়নের বেশি পাওনা রয়েছে। যার মধ্যে কয়েকটি কোম্পানি নির্ধারিত সময়ের তুলনায় কম কার্গো পাঠিয়েছে অথবা সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে।
সরকারকে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ডলারের পরিবর্তে ভারতীয় মুদ্রা রুপি ব্যবহারের সুপারিশও করেছে বিপিসি। ডলারের মজুত বাঁচাতেই করা হয়েছে এ সুপারিশ।
রয়টার্সের অনুসন্ধান বলছে, গত এপ্রিলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে প্রথম চিঠিটি দিয়েছিল বিপিসি। সেখানে সরকারের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে বলা হয়েছিল, ‘মে মাসের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি জ্বালানি আমদানি করা না যায়, সেক্ষেত্রে জ্বালানির মজুত আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাবে। এতে দেশজুড়ে ব্যাপক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে সরবরাহ ব্যবস্থা।’
দ্বিতীয় চিঠিটি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে ৯ মে। জ্বালানি আমদানির সাম্প্রতিক অবস্থা তুলে ধরে সেই চিঠিতে বিপিসি জানিয়েছে, ‘অভ্যন্তরীণ বাজারে ডলারের ঘাটতি থাকায় এবং চাহিদা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার সরবরাহ না করতে পারায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সঠিক সময়ে (জ্বালানি তেলের) আমদানি মূল্য পরিশোধ করতে পারছে না
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]