জুন মাস থেকে রামপালের দ্বিতীয় ইউনিটের পুরো দমে উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এই কেন্দ্রের দুটি ইউনিট চালু রাখতে যে পরিমাণ কয়লার প্রয়োজন রয়েছে, সেটার সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন কেন্দ্রটির কর্মকর্তারাই।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম শনিবার বিবিসি বাংলার সানজানা চৌধুরীকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমরা নিশ্চিত না কতদিন আমরা উৎপাদন করতে পারবো। চেষ্টা থাকবে কয়লার সরবরাহ যাতে নিরবচ্ছিন্ন থাকে। যতদিন পর্যন্ত কয়লার সরবরাহ থাকবে ততদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে, নাহলে বন্ধ থাকবে। দেখা যাক কি হয়।”
সর্বশেষ চালানে যে পরিমাণ কয়লা এসেছে, তাতে এই কেন্দ্রটি আর মাত্র ১১দিন চালানো যাবে। একটি কেন্দ্র চালু রাখতে হলেও প্রতি ১৫দিন পর পর ৫০ হাজার টনের বেশি কয়লার প্রয়োজন এই কেন্দ্রের।
কিন্তু যে জটিলতার মধ্য দিয়ে একমাস পরে কয়লা আমদানি করতে হয়েছে, সামনের দিনগুলোয় সেটা সহজ হবে কিনা, তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে কর্মকর্তাদের মধ্যে।
আরেকটি বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র পায়রা ২০২০ সাল থেকে যে পরিমাণ কয়লা আমদানি করেছে, তার মধ্যে সর্বশেষ জানুয়ারি মাস পর্যন্ত চীনের কোম্পানির কাছে অনাদায়ী বকেয়া পড়েছে প্রায় সাত কোটি ডলার।
সংস্থাটি জানিয়েছে, বকেয়া পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত তারা নতুন করে কয়লা আমদানিতে অর্থায়ন করবে না। (বিবিসি বাংলা)